চিনির সঙ্গে ফিটকিরি ও আটা মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়

ছবি: সংগৃহীত

চিনির সঙ্গে আটা ও ফিটকিরি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে খেজুরের গুড়। আর সেই গুড় চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। রাজশাহীর বাঘায় এমনই এক চাঞ্চল্যকর খবরে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহীর বাঘায় চিনি গলিয়ে তাতে আটা, হাইড্রস, ফিটকারি, সোডা, চুন, নারিকেল তেল এবং রঙ মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নকল খেজুরের গুড়।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার মধ্যে বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি খেজুর গুড় তৈরি হয়। এখানকার গুড় রাজশাহীর বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে বাঘায় খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরি শুরু হয়েছে। রাজশাহীর বাজারে নতুন খেজুর গুড় বিক্রিও শুরু হয়েছে।

তবে এসব গুড়ের বেশিরভাগই ভেজাল। বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনি, আটা, হাইড্রস, ফিটকারি, সোডা, চুন, নারিকেল তেল এবং রঙ একসঙ্গে জ্বাল দিয়েই যা তৈরি করছেন। খবর পেয়ে ২৭ নভেম্বর বুধবার গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১০ মণ নকল ‍গুড় জব্দ করে পানিতে ফেলা হয়। আর এক গুড় ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা বলেন, স্থানীয়রা নকল গুড় তৈরির বিষয়টি প্রশাসনকে জানান। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামের মন্টু মিয়ার বাড়ির গুড় কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে গিয়ে প্রায় ১০ মণ নকল গুড় ও বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়। জব্দকৃত নকল গুড় ও সামগ্রী পুকুরে ফেলে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কারখানা মালিক মন্টু মিয়া আগেই পালিয়ে যান। তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা আরো জানান, এ ঘটনার পর ওই এলাকার আরো কয়েকটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযান টের পেয়ে সেসব কারখানার মালিকরা আগেই পালিয়ে যান। আগামীতে গ্রামে গ্রামে গুড়ের নকল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

শেয়ার করুন