ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ৯

ডেস্ক রিপোর্ট: ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাংলাদেশের দেশের বিভিন্ন জেলায় অন্ততঃ ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে অনেক বাড়িঘর, গাছপালা। তবে উপকূলীয় অঞ্চলে পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা।

ঘূর্ণিঝড়ে যশোরের চৌগাছার চাঁদপুর গ্রামে গাছের নিচে চাপা পড়ে পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- মৃত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী খ্যান্ত বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে রাবেয়া (১৩)।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার রাতে ঝড়ের সময় ঘরে ছিলেন তারা। রাত ১০টার দিকে ঘরের পাশের একটি গাছ ভেঙে পড়ে ঘরের ওপর। এ সময় মা ও মেয়ে নিহত হয়। তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব।

উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালি ও ভোলায় দু’জন করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

পটুয়াখালিতে নিহত দুজনের মধ্যে একজন গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকার শিশু রাশেদ (৬)। গাছের ডাল ভেঙে পড়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। নিহত অপরজন ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকার স্বেচ্ছাসেবী শাহ আলম।

ভোলায় বুধবার ঝোড়ো হাওয়ার সময় গাছে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধ মো. সিদ্দিক ফকিরের (৭০)। তিনি চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আম্পানের প্রভাবে নিহত হওয়া একই জেলার অপরজন হলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাসাননগর গ্রামের আবু কালামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫)। ট্রলারডুবিতে তার মৃত্যু হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় ঝোড়ো বাতাসের মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে গাছচাপা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড়ে অনেক বাড়িঘর, গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে অনেক মাছের ঘের।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় দেয়ালে চাপা পড়ে শাহজাহান মোল্লা (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান।

এ ছাড়া মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বরগুনার সদর উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র যাওয়ার পথে এক ব্যবসায়ী ‘অসুস্থ হয়ে’ মারা যান। বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার জানান, নিহত শহীদুল ইসলাম (৬৪) আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।

শেয়ার করুন