কোটা নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: কেন বহিষ্কৃত হলো বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র?

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার নিয়ে ফেসবুকে ‘উস্কানিমূলক’ স্ট্যাটাস দেবার অভিযোগে চট্টগ্রামের ভেটিরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম বিবিসি বাংলাকে জানান, ফেসবুকে কোটা সংস্কার নিয়ে মীর মোহাম্মদ জুনায়েদের কিছু স্ট্যাটাসের কারণেই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

মীর মোহাম্মদ জুনায়েদ ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ভেটিরিনারি অনুষদের একজন ছাত্র।

তিনি ঠিক কি লিখেছেন – তা মিঃ ইমাম প্রকাশ করেন নি। তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি এখন তদন্ত কমিটি দেখছে ই এটা বলা সম্ভব নয়।

তবে ফেসবুকে মীর জুনায়েদের প্রোফাইলে দেখা যায়, গত ৯ই জুলাই তিনি লিখেছেন, “সরকারি চাকরি কোটাধারীদের দখলে, আর বেসরকারি চাকরি ভারতীয়দের দখলে আমজনতা কই যাবে???

এর পর ১৫ই জুলাই তিনি লেখেন, “আগে বলেছিলেন, কোন কোটায় থাকবেনা। আর এখন বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। সম্ভবত এটা কুরআনিক আইন, তাই পরিবর্তন সম্ভব না। কেউ কথা রাখেনি…।”

এ্যাকাউন্টে তার নাম মীর সাব্বির (জুনায়েদ)। তার বক্তব্য জানার জন্য ফেসবুকে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি জবাব দেন নি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মি. ফারুক ইমামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ফেসবুকে কোন ছাত্র কি লিখলো – তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি সাময়িকভাবে তাকে বহিষ্কার করতে পারে?

এ প্রশ্নের জবাবে মি. ফারুক ইমাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ীই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল রুলসের ১৬ ধারায় আছে যে – এমন কোন কাজ যদি কোন ছাত্র করে যা দেশের আইন অনুযায়ী অনৈতিক বা সামাজিক অপরাধ বলে বিবেচিত – তাহলে তার বিরুদ্ধে শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার কর্তৃপক্ষের আছে।

মি. ইমাম বলেন, এ ব্যাপারে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে – যারা আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।

মীর্জা ফারুক ইমাম আরো জানান, ১০-১২ দিন আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক অভিজিৎ দত্তের বিরুদ্ধেও ফেসবুকে আপত্তিকর বক্তব্য দেবার জন্য কারণ-দর্শাও নোটিশ জারি করা হয়েছে – যার জবাব তিনি দিয়েছেন এবং তা বিবেচনাধীন।

তিনি বলেন, ওই শিক্ষক ‘দেশের সরকার এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে হেয় করে’ বক্তব্য দিয়েছেন বলেই ওই নোটিশ দেয়া হয়েছে।

সৌজন্যে ঃ বিবিসি বাংলা অনলাইন

শেয়ার করুন