করোনার রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হলো যেসব এলাকা

বাংলাদেশের পাঁচ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় বেশ কয়েকটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

করোনা মহামারী ঠেকাতে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির এক সভায় এসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে গত ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে ৬০ জনের বেশি আক্রান্ত সনাক্ত হওয়ায় এসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হলো।

ঢাকার মধ্যে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৭টি ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি এলাকা রেড জোন বিবেচিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১১টি এলাকাকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেড জোন বলা হচ্ছে।

এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলায় সর্বশেষ ১৪ দিনে প্রতি এক লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে ১০ জন আক্রান্ত সনাক্ত হলে সেই এলাকাকে রেড জোন করা হবে বলে মানদন্ড ধরা হয়েছে।

সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার স্থানীয় পর্যায়ে রেড জোনের সীমানা নির্ধারন করবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো: বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

চট্টগ্রাম সিটির ১০ এলাকা রয়েছে রেড জোনের মধ্যে। সেগুলো হলো, চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড, পতেঙ্গার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড, পাহাড়তলির ১০ নম্বর ওয়ার্ড, কোতোয়ালির ১৬, ২০, ২১ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ড, খুলশীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, হালিশহর এলাকার ২৬ নম্বর ওয়ার্ড।

ঢাকার বাইরের তিন জেলার মধ্যে গাজীপুরের সব কটি উপজেলাকে রেড জোনের আওতার মধ্যে আনা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সদর এবং পুরো সিটি এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আর নরসিংদীর সদর মডেল থানা, মাধবদী ও পলাশ রয়েছে রেড জোনের মধ্যে।

শেয়ার করুন