এবার বাসের চাপায় তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

এবার বিআরটিসির বাস চাপায় এক তরুণী পা হারিয়েছেন। ওই তরুণীর নাম রোজিনা। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি ফুটওভার ব্রিজের কাছে বিআরটিসি বাসের নিচে পড়ে তার ডান পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত রোজিনাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত বাসচালক শফিকুলকে গ্রেফতার এবং বাসটি আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারার কাছে দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় হাত হারান রাজীব হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ এপ্রিল তিনি মারা যান।  গত ৫ এপ্রিল নিউমার্কেট এলাকায় দুই বাসের প্রতিযোগিতার মাঝখানে পড়ে দুই পায়ের চলার শক্তি হারিয়েছেন আয়েশা খাতুন (২৫) নামের এক তরুণী। এছাড়া গত ১০ এপ্রিল ফার্মগেটে বাসচাপায় পা থেঁতলে যায় র‍্যাংগস প্রপার্টিজের অভ্যর্থনাকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী রুনি আক্তারের।
ট্রাফিক পুলিশের মহাখালী জোনের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে ওই তরুণী ফুটপাত থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় মহাখালী থেকে কাকলীমুখী বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের চাকার নিচে পড়ে তার ডান পা পিষ্ট হয়। তার ডান পা হাটু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনোরকমে ঝুলছিল। এ অবস্থায় কয়েকজন পথচারী রোজিনাকে উদ্ধার করে দ্রুত পঙ্গু হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। এছাড়া বাম পায়েও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। বনানী থানার ওসি ফরমান আলী জানান, বিআরটিসির ওই বাস এবং তার চালক শফিকুলকে আটক করা হয়েছে।
হাসপাতালে আহত রোজিনা জানান, গতকাল রাতে তিনি তার এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে বনানী এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় থেকে বাসে ওঠার জন্য রাস্তা পার হন। তখন দ্বিতল একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়।
জানা গেছে, রোজিনার বাড়ি ময়মনসিংহের ঘোষগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম রসুল মিয়া। রোজিনা গুলশান ১ নম্বরে নিকেত আবাসিক এলাকায় ১২ নম্বর রোডে একটি ফ্ল্যাটে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন।
শেয়ার করুন