কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধে করণীয়

কিডনি শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিডনিতে সংক্রমণ (ইনফেকশন) মানব শরীরের মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। খুব বড় সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলি সেভাবে প্রকাশ হয় না। এ কারণে কিডনির সমস্যাকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বেশিরভাগ সময়ে এমন অবস্থায় কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে যখন আর কিছু করার থাকে না।

কিডনিতে পাথর জমা এখন একটি পরিচিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় মতো এর চিকিৎসা না হলে কিডনির কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এ কারণে প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধই এই রোগের জন্য উত্তম। কিছু বিষয় অনুসরন করলে কিডনিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করা যায়। যেমন –

১. অনেকেই খাবারে কাঁচা লবণ খান। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে পারে না  এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়ে।

২. কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের বর্জ্য ছেঁকে শরীরকে টক্সিনমুক্ত করা। সাধারণত পানির সাহায্যে কিডনি এই কাজটি করে। কেউ যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করে তাহলে কিডনি সঠিকভাবে শরীরের বর্জ্য দূর করতে পারে না। তখন ওই বর্জ্য কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসাবে। এ কারণে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

৩. সবজি কম খেয়ে বেশি মাংসজাতীয় খাবার খেলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এছাড়া কিডনি ভাল রাখতে আরও কিছু বিষয় অনুসরন করা উচিত। যেমন-

১. প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

২. প্রসাব কখনও চেপে রাখা ঠিক নয়। এতে সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ে।

৩. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করাও ঠিক নয়।

৪. বয়স চল্লিশ পার হলে নিয়মিত বছরে একবার ডায়াবেটিস ও উচ্ রক্তচাপ পরীক্ষা করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

৫. বছরে অন্তত একবার প্রসাবের মাইক্রো-এলবুমিন পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

শেয়ার করুন