তথ্য-প্রযুক্তি মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুর জামিন

তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অন্তর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

গত ২১ অক্টোবর তথ্য-প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চট্টগ্রামের আদালতে হাজিরা দেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে ওই আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তিনি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমীর খসরু মাহমুদের একটি অডিও কথোপকথন ফাঁস হয়। ওই অডিওতে নিরাপদ সড়ক দাবিতে কিশোর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে চাঙা করার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য উঠে আসে। পরে ওই অডিওর ভিত্তিতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা করা হয়। এর পর ২৭ আগস্ট দুই মামলায় হাজির হয়ে আমীর খসরু আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করেন। পরে ওই জামিনের মেয়াদ শেষে গত ২১ অক্টোবর তিনি চট্টগ্রামের আদালতে হাজিরা দেন।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় গত ৪ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। মামলায় তার বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

শেয়ার করুন