ইসলামের দৃষ্টিতে ভোট একটি আমানত, নির্বাচন একটি জেহাদ

আলাউদ্দিন ইমামী ॥ মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের ইহকালীন সুখ ও পরকালীন মুক্তির জন্য যে নিয়মনীতি দিয়েছেন তার সমষ্টিই হল ইসলাম। তিনি মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়সহ ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সব ব্যপারেই ইসলামে তার নীতিমালা উপস্থাপন করেছেন বলেই ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান।

ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হওয়ায় ভোট ও নির্বাচন ইসলামিক বিষয় এবং এবাদতের অংশ। ভোট একটি আমানতও। নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী আদর্শকে বিজয়ী করে বাতিল মতবাদকে উৎখাত করার পথ খোলা আছে বিধায়, নির্বাচন একটি বড় জেহাদ।

তাই মুসলিম প্রার্থী ও ভোটারদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা থাকা প্রয়োজন। অমুসলিম প্রার্থী হলে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা। নাস্তিক ও মুশরেকমার্কা মুসলমান নামধারী নেতা, যার দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতি হবে, তার চেয়ে ভাল সে অমুসলিম নেতা, যার দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানের উপকার হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আমার দুশমন এবং তোমাদের দুশমনকে নিজেদের অভিভাবক বানাইওনা’। আল-কোরআন। (সুরা মুমতাহিনা)

ভোট দেয়া মানে মত দেয়া, স্বাক্ষী দেয়া
ভোট দেয়া মানে মত দেয়া, স্বাক্ষী দেয়া। অন্য সময় মত ও স্বাক্ষী দেয়া বলতে যা বুঝায়, নির্বাচনের সময় ভোট দেয়া বলতে তাই বুঝায়। যেহেতু মুসলমান সব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি, ইসলামের কল্যাণ ও মানুষের উপকারের জন্যই করে, সেহেতু তাদের নির্বাচনও এবাদত। দেশ, ধর্ম ও মানুষের কল্যাণের চিন্তা বাদ, নিজের ক্ষমতা আর স্বার্থই যদি হয় ভোট নির্বাচনের লক্ষ্য তখন আল্লাহর গজব আর পাপই হবে সবার পাওনা।

ভোট দেয়ার মাধ্যমে মানুষ কোন বিষয়ে বা কোন ব্যক্তির ব্যপারে তার ভাল মন্দ, যোগ্যতা অযোগ্য বিষয়ক মতামত দিয়ে থাকে। এই মতামত দেয়ার সময় ঐ বিষয়ে বা উক্ত ব্যক্তির সব ব্যপারে তার স্বচ্ছ ও সঠিক জ্ঞান এবং ধারণা থাকা প্রয়োজন। তার জ্ঞান ও ধারনা যত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার হবে, তার মতামত বা ভোট দান তত সঠিক হবে। ভোট ও মতামত সঠিক হওয়ার উপরই নির্ভর করে সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ, ধর্ম ও মানুষের কল্যাণ আর উন্নতি। দ্বীন, ধর্ম এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণের চিন্তা করেই ভোট দেয়া উচিত। আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেন, ‘সেই ভাল মানুষ যে মানুষের উপকার করে’। (আল হাদীস)

ভোট দেয়া মানে পাপ পূণ্যের ভাগীদার হওয়া
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বাক্ষী দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ বলেন, ‘যে সত্যের স্বাক্ষ্য গোপন করল তার চাইতে বড় জালিম কে?’ (আল-কোরআন)। সত্য স্বাক্ষী না দেয়া বা গোপন করা গুরুতর অন্যায় ও গুণাহ। সৎ, উপযুক্ত ও দ্বীনদার ব্যক্তিকে ভোট না দেয়া, সত্য গোপন করার মত অপরাধ। আবার অযোগ্য ও অসৎ লোককে ভোট দেয়াও তেমন বড় ধরণের পাপ ও অন্যায়।

আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা কল্যাণ ও তাকওয়ার কাজে সহযোগিতা কর। পাপ ও সীমালংঘনের কাজে সহযোগিতা করিও না’। (আল-কোরআন)। এই ভোটের কারণে অসৎ লোক নির্বাচিত হয়ে যত পাপ করবে তার দায়ভার ভোটারকেও নিতে হবে, তাকে আল্লাহর নিকট জওয়াব দিতে হবে। আর যদি ভোট পেয়ে সৎ লোক নির্বাচিত হয়ে, সৎ ও মঙ্গলের কাজ করে, ভোটারও এর সকল পূণ্য ও সওয়াবের ভাগীদার হবে। এতেই বুঝা যায় ভোট কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ভোট দেয়া মানে অনুগত ও দলভুক্ত হওয়া
আপনি ঈমান ইলম ও বিবেককে কাজে লাগিয়ে একটি দল ও একজন প্রার্থীকে ধর্ম, দেশ ও মানুষের জন্য কল্যাণকর, যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়পরায়ণ ও সৎ মনে করে ভোট দিলেন। আপনার জ্ঞান ও ধারনা যদি ঠিক হয় তাহলে আপনার ইমান ও বিবেকের দাবীই হল তার অনুগত হওয়ার এবং তার দল ভুক্ত হয়ে দেশ, ধর্ম ও মানুষের জন্য কাজ করা।

আপনি একটি দল ও একজন মানুষকে সৎ, উপযুক্ত, ন্যায়পরায়ণ ও ঈমানদার মনে করবেন, অথচ তার কথামত চলবেন না, উল্টা করবেন তাকে সহযোগিতা না করে বিরোধিতা করবেন এটা হতে পারে না। এটা ঈমান ও বিবেকবিরোধী অযৌক্তিক কাজ। আপনার ভোট দেয়া যদি ঈমান এলম ও বিবেকের দৃষ্টিতে ঠিক হয়, তাহলে সেই দলের অনুগত্য করেই আপনাকে চলতে হবে।

আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর, রাসুলের (সাঃ) এবং তোমাদের দায়িত্বশীলদের আনুগত হয়ে চল’ (আল কোরআন)। এই জন্য আপনাকে ভোট দেয়ার আগে চিন্তাভাবনা করে ঈমানদারীর সাথে আল্লাহর কাছে জওয়াবদিহির অনুভূতি নিয়ে ভোট দিতে হবে যদি আপনি মুসলমান হন।

ভোট নিয়ে ধোঁকাবাজি ও ব্যবসা
ভোট একটি গুরুত্বপূর্ণ আমানত ও ঈমানদারীর বিষয় হওয়ার পরও কিছু মুসলমান অজ্ঞতা ও স্বার্থপরতার কারণে ভোট নিয়ে ধোঁকাবাজি ও ব্যবসা করে। যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম ও কবিরা গুনাহ। একজনকে ভোট দেয়ার কথা বলে অন্য জনকে ভোট দেয়, উপযুক্ত ব্যক্তিকে ভোট না দিয়ে নিজের আত্মীয়, পরিচিত অথবা নিজের দলের অযোগ্য চরিত্রহীন, অসৎ, দুর্নীতিবাজ ও ইসলাম বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দেয়, যা অন্যায় এবং মহা পাপ। কেউ কেউ ভোট বেচা কেনা করে। ভোট দেয়ার ওয়াদা করে টাকা নেয়। লাখ টাকা দাবি করে। দর-দাম করে। কেউ আবার বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্য প্রার্থীকে ভোট দেয় অথবা জাগতিক অন্য কোন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে এর সবটাই হারাম ও কবিরা গুণাহ। এভাবে সমাজে দুর্নীতি ছাড়ায় এবং দুর্নীতিবাজ নেতা তৈরি হয়। যার জন্য ভোটাররাই দায়ী।

ভোট একটি আমানত
ভোট আল্লাহর দেয়া একটি আমানত। এই আমানত, আমানতদারির সাথে ঈমানের দাবীর ভিত্তিতে ব্যবহার করলে আপনি আমানত হেফাজতকারী হয়ে সওয়াবের ভাগীদার হবেন। যদি আপনি ইসলাম বিরোধী দল ও ব্যক্তিকে অথবা চরিত্রহীন, দুর্নীতিবাজ, জালিমমার্কা প্রার্থী যাকে ভোট দিলে দেশ, ধর্ম ও মানুষের ক্ষতি হবে তাকে ভোট দিয়ে আমানত খেয়ানত করেন, মস্তবড় পাপী ও গুনাহগার ব্যক্তিতে পরিণত হবেন। আল্লাহ বলেন, ‘যারা মুমীন, তারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা এবং আমানতের ব্যাপারে যত্নশীল থাকে’ (আল-কোরআন)। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘যারা মুনাফেক তারা আমানত খেয়ানত করে’ (আল-হাদীস)। যে দল বা যে ব্যক্তিকে ভোট দিলে ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতি হবে, দেশের ক্ষতি হবে, যারা তাদেরকে ভোট দিবে তারা ইসলামের দৃষ্টিতে আমানত খেয়ানতকারী। প্রিয় রাসুলের (সাঃ) ভাষায় মুনাফিক।

নির্বাচন একটি জেহাদ
দেশে দেশে যে নির্বাচন হয়, এর মাধ্যমে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দেশের বিভক্তি বিভাজন হয় এই নির্বাচনের মাধ্যমে। এমন কি এক পক্ষের একটি দেশ, একটি এলাকা অন্য পক্ষ দখলে নিচ্ছে ভোটের মাধ্যমে। যেটা যুদ্ধ ও জেহাদের মাধ্যমে করা হত আগের জামানায়। সেই দৃষ্টিতে এই নির্বাচন একটি জেহাদ। এই নির্বাচন, এই কারণেও জেহাদ যে, এর মাধ্যমে বাতিল মতবাদকে উৎখাত করে সত্যকে বিজয়ী করার পথ প্রশস্ত হয়। দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন, সন্ত্রাসী ও জালিমমার্কা নেতাকে বাদ দিয়ে সৎ, চরিত্রবান, ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক নেতা নির্বাচন করা যায়। আধুনিক বিশ্বে ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার এবং সৎ, চরিত্রবান, ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক নেতা নির্বাচিত করার উত্তম হাতিয়ার হল নির্বাচন। এই কারণে আধুনিক বিশ্বের চলমান নির্বাচনও একটি জিহাদ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ এবং রাসুলের (সাঃ) প্রতি ঈমান রাখ এবং জানমাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ কর’ (আল-কোরআন)। প্রার্থী, দল এবং ভোটারের ভোটদান যদি সত্যই দেশ, ধর্ম ও মানবতার কল্যাণের জন্য হয়, তাহলে এ কাজ অবশ্যই আল্লাহর পথে জেহাদের অন্তর্ভূক্ত হবে। তাই এব্যপারে জানমাল দিয়ে কাজ করা মুমীনের দায়িত্ব।

ভোটের গুরুত্ব ও ভোটারের দায়িত্ব
ভোটের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হবেন তাঁদের হাতে থাকবে দেশের উন্নতি, অবনতি, মানুষের লাভ-ক্ষতি এবং ইসলামিক বিষয়ে কাজ ও হস্তক্ষেপ করার সুযোগ ও ক্ষমতা। এই কারণে যারা ভোটার তাদের দায়িত্ব বহুগুণ বেশি। তাদের ভোট দেয়া ভূল হওয়া এবং শুদ্ধ হওয়ার উপরই নির্ভর করে দেশ, ধর্ম ও মানুষের ভবিষ্যত। তাই যারা ভোটার তাদের চিন্তা করে দেখতে হবে, আমি যাকে ভোট দেব তার চরিত্র কেমন, তার যোগ্যতা কেমন, তার দ্বারা দেশ, ধর্ম ও মানুষের উপকার হবে, নাকি ক্ষতি হবে? আল্লাহ, রাসুল (সাঃ) এবং দ্বীন ধর্মের ব্যপারে সে কি রকম ঈমান ও বিশ্বাস রাখে, নাকি সে দ্বীন ধর্ম ও আল্লাহ রাসুল (সাঃ) এর বিরোধী? যার দ্বারা বা যে দলকে ভোট দিলে দ্বীন ধর্মের ক্ষতি হওয়ার আশংকা আছে, তাদেরকে ভোট দেয়া মানে ইসলামের ক্ষতি করার দরজা খুলে দেয়া। যা সম্পূর্ণ হারাম। ঈমান ইসলামের হেফাজত করা, দেশ, ধর্ম ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা, এবং দেশের লাভ ক্ষতির ব্যপারে চিন্তা করা যেহেতু প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব, সেহেতু যাকে বা যে দলকে ভোট দিলে দেশ, ধর্ম ও মানুষের উপকার ও কল্যাণ হবে, তাকে ভোট দেয়া প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর জন্য অবশ্যকর্তব্য। অযোগ্য ব্যক্তি বা দল যদি বিজয়ী হয়ে, ইসলাম ও মুসলমানের এবং দেশের ক্ষতি করে তখন ভোটারগণ বড় অপরাধে অপরাধী হবে। নাউযুবিল্লাহ। তাই সকল মুসলমানের দায়িত্ব হল যাদেরকে ভোট দিলে দেশ, ধর্ম ও মানুষের উপকার হবে তাদেরকে ভোট দেয়া এবং তাদের বিজয়ের জন্য কাজ করা।

প্রার্থীদের দায়িত্ব এবং পরিনাম
ইসলাম কোন পদের প্রার্থী হওয়া পছন্দ করে না। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, যারা পদ চেয়ে নেয়, ‘তারা পদ পেলেও আল্লাহর রহমত পায় না’ (আল-হাদীস)। ইসলামের কথা হল উপযুক্ত ব্যক্তিকে বাছাই ও চিহ্নিত করে তাকে প্রার্থী ও নির্বাচিত করা জনগণের দায়িত্ব। এই ভাবেই প্রিয় নবী (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর ইসলামী খলীফাদের নির্বাচন হয়েছিল। দেশ, ধর্ম ও মানুষের উপকারের নিয়তে প্রার্থী হওয়া, নির্বাচিত হয়ে দেশে ও সমাজে ইসলাম, মুসলমান ও মানুষের কল্যাণের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সাঃ) প্রদর্শিত তরিকায় কাজ করা, মুসলমান প্রার্থীদের ঈমানী দায়িত্ব। আল্লাহ বলেন, ‘আমি তাদেরকে ক্ষমতা দিলে তারা নামাজ চালু করবে, জাকাত আদায় করবে, সৎ কাজের আদেশ জারি করবে এবং অসৎ ও অন্যায় কাজ নিষিদ্ধ করবে’ (আল-কোরআন)। এভাবে কাজ করলে তা হবে এবাদত ও জেহাদ। নির্বাচিত হয়ে যদি তার কাজ ও ক্ষমতাকে মানবতা, দ্বীন ও ধর্মবিরোধী কাজে ব্যবহার করে, আল্লাহ রাসুলের (সাঃ) বিধানের উল্টা করে, সকল মানুষের পাপের ভাগ তাকে নিতে হবে এবং তার পরিনাম হবে জাহান্নাম। তাই যারা প্রার্থী তাদের জানা উচিত ইসলাম তাদেরকে কি নির্দেশ দেয়, আর কি নিষেধ করে। মুসলমান হিসাবে তাদের দায়িত্ব কি এবং সে দায়িত্ব কি ভাবে পালন করতে হবে, তা জানা তাদের জন্য ফরজ।

শেষ কথা
ভোটারদের ভোট দানের এবং নির্বাচিত ব্যক্তির যোগ্যতা, সততা ও ঈমানদারীর উপর নির্ভর করে দেশ, ধর্ম ও মানুষের উন্নতি ও কল্যাণ। তাই ঈমানদার, চরিত্রবান, সৎ, যোগ্য, খোদাভীরু, দেশ প্রেমিক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা মুসলমান ভোটারদের ঈমানী দায়িত্ব। ভোট দান করা থেকে বিরত থাকা বড় গুনাহ। উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে, যাকে ভোট দিলে দেশ, ধর্ম ও মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা কম তাকে ভোট দিতে হবে। ব্যক্তিগত, দলীয় ও জাগতিক স্বার্থে দেশ, ধর্ম ও মানুষের ক্ষতি হয়, এমন দুর্নীতিবাজ, চরিত্রহীন, সন্ত্রাসী, অসৎ দেশপ্রেম বর্জিত প্রার্থীকে ভোট দেয়া মস্তবড় পাপ ও কবিরা গুনাহ।

– আলাউদ্দিন ইমামী, খতীব, বান্দরবান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।

শেয়ার করুন