করোনায় আক্রান্ত ৭১, মারা গেছে ২ জন
লকডাউনে নীরব বান্দরবান শহর

বান্দরবান শহরে লক ডাউনের প্রথম দিনে র্নিধারিত সময়ের পর সড়কে চলাচলকারীদের পড়তে হয়েছে পুলিশি জেরার মুখে।

করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বান্দরবান সদর ও রুমা উপজেলায় লকডাউন কার্যকর করেছে প্রশাসন। আজ বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ লকডাউন বলবৎ থাকবে। জেলায় করোনা আক্রান্তের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে আজ বুধবার বেলা ১২ টার পর পরই বান্দরবান পৌর এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ সদস্যদের মাঠে নামতে দেখা গেছে। এ সময় বাজার ও এর আশ-পাশের দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। প্রধান সড়ক অলিগলিতে নেমে আসে নীরবতা।

লকডাউন কার্যকর করতে ট্রাফিক মোড় থেকে বাজার অভিমুখী সড়কে প্রতিবন্ধকতা দেয় পুলিশ।

শুরুর দিকে বেশ কিছু পথচারীদেরও জেরা করে পুলিশ সদস্যরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বান্দরবান সদর ও রুমা উপজেলাকে রেড জোন ঘোষনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

বাজারের দোকান-পাটগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নেমে আসে নীরবতা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন, আমরা গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জনসাধারণকে অবগত করে লকডাউন কার্যকর করেছি। আশা করছি সবাই করোনা মহামারীতে সহযোগিতা করবেন। কেউ বিধি-নিষেধ অমান্য করলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন চলাকালীন সময়ে শুধু ঔষধের দোকান খোলা থাকবে। পণ্যবাহী যান চলাচল করবে তবে গণপরিবহণ চলবে না। লক ডাউন এলাকা থেকে কেউ বের হবে না বা অন্য কেউ ঢুকতে পারবে না।

সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকবে।

পৌর এলাকায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ জনগনের খোঁজ-খবর রাখবেন।

শেয়ার করুন