‘মনে হচ্ছে টসে জেতাই ভুল হয়ে গেছে’

স্বাভাবিকভাবে দিনের সেরা পারফরমার আসেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাজির হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার মাশুল খুব খারাপভাবেই দিতে হয়েছে। দ্বিতীয় টেস্টেও সেই একই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাংবাদিকদের সামনেও এ বিষয়েই কথা বললেন।

ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালের উইকেটে বাউন্স থাকায় বোলাররা সুবিধা পেতে পারেন। এটা ভেবেই হয়তো বাংলাদেশ অধিনায়কের এ সিদ্ধান্ত। অধিনায়ক মুশফিকের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি বোলাররা। হতাশ কণ্ঠে সাংবাদিকদের সামনে অধিনায়ক বললেন, ‘আমার তো মনে হচ্ছে টসে জেতাই ভুল হয়ে গেছে ভাই!’

তিনি আরও বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে চেষ্টা করছি সততার সঙ্গে সব পালন করতে। গেলো ১২ বছর এই চেষ্টাই করেছি। এ দুই টেস্টে মনে হচ্ছে টস হারলে ভালো হয়। আগে কখনো এটা মনে হয়নি! এটা হয়তো আমার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা। হয়তো দলকে ওভাবে উৎসাহিত করতে পারছি না বা বোলারদের দিকনির্দেশনা করতে পারছি না। এটা আমার ব্যর্থতা। বোলাররা চেষ্টা করেছে, হয়নি।’

উইকেট থেকে সুবিধা আসতে পারে, এটা মুশফিকের ভাবনায় থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা সেটা বুঝতেই দিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাট করে গেছেন পুরোটা দিন। প্রথমদিন শেষে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ তিন উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রান। প্রথম টেস্ট শেষে সরাসরি বোলারদের ধুয়ে দিলেও দ্বিতীয় টেস্টে অতোটা কঠোর ছিলেন না টেস্ট অধিনায়ক।

তবু তার কথার চাবুক থেকে রেহাই পায়নি বোলাররা। বলেন, ‘আমার ব্যর্থতা বলতে পারেন। আমি হয়তো তাদের ঠিকঠাক বার্তা দিতে পারিনি। আমাদের যে বোলিং কোচ আছেন, তিনি তো আর নিজে বোলিং করতে পারবেন না। তিনি প্রায় প্রতিদিনই নেটে বোলিং করেন। তার একটা বল মিড অন-মিড অফে আমাদের ব্যাটসম্যানরা এখনো খেলতে পারে না! কেউ যদি এটা শিখতে না পারে, সেটা কাজে লাগতে না পারে, এটা শুধু ব্যর্থতাই বলব। অনেক বড় সুযোগ ছিল। মুভমেন্ট খুব একটা না থাকলেও অন্তত নতুন বলটা কাজে লাগাতে পারলে দ্রুত ২-৩ উইকেট পেয়ে যেতে পারতাম।’

শেয়ার করুন