র্দুগম পাহাড়ে ফুটবল উম্মাদনা; বড়ইতলিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হানসামা

জামছড়ি ফুটবল প্রতিযোগিতার সমাপণী দিনে চ্যাম্পিয়ণ হানসামা পাড় স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়দের হাতে ট্রফি তুলে দিচ্ছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈহ্লা।ছবি- খোলাচোখ ডট কম।

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার জামছড়ি ফুটবল টুর্ণামেন্টের সমাপনী দিনে দুর্দান্ত এক ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করলো স্থানীয় প্রায় চার হাজার আদিবাসী নারী-পুরুষ।

স্থানীয় এবং ঢাকা চট্টগ্রামের পেশাদার ফুটবলারদের নিয়ে গড়া হানসামা পাড়া স্পোর্টিং ক্লাব এবং বড়ইতলি ফ্রেন্ডস ক্লাবের খেলোয়াড়দের ফুটবল কারিশমা উপভোগ করে মাঠের চারপাশে উপস্থিত দুই দলের সমর্থকদের মুহুর্মুহু করতালিতে সুনসান পাহাড়ও যেন বারবার নীরবতা হারাচ্ছিল। এসময় ফুটবল মাঠে উপস্থিত দশকর্দের বাড়তি আনন্দ দিতে স্থানীয় বাদক দলের পরিবেশনাও ছিল মনোমুগ্ধকর।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার সাথে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা মাঠে বসে ফাইনাল খেলাটি উপভোগ করেন।

ম্যাচের বিবরণী:

স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া বড়ইতলি ক্লাবের মোকাবিলা করতে চট্টগ্রাম লীগ থেকে অর্ধডজন পেশাদার ফুটবলার উড়িয়ে আনা হানসামা দলকে শক্তি সামর্থ্যে এগিয়েই রেখেছিলেন দর্শকরা।

দর্শকদের সে ধারনাকে বাস্তবে রুপ দিয়েই ম্যাচের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নেয় দলটি। প্রাধান্য বিস্তার করে আক্রমণভাগ রক্ষণভাগ দু জায়গাতেই। চট্টগ্রাম ঢাকার মাঠের পরিচিত মুখ আরিফুল- মিঠুরা সহযেই দখল নেন মধ্য মাঠের।

ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিট গড়িয়েছে তখন। মাঝ মাঠের জটলা থেকে একক প্রচেষ্টায় ডি বক্স থেকে জোরালো শটে বড়ইতলির জাল কাঁপান ১০ নম্বর জার্সির মিঠু। (১-০)।

গোল হজমের পর কিছুটা এলোমেলো খেলতে থাকে বড়ইতলির খেলোয়াড়রা। এই সুযোগ কাজে লাগান ছিমছাম গড়নের সেই মিঠু। ২৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতেই আরো একবার গোল উৎসবে মেতে উঠেন দর্শকরা।( ২-১)।

জমজমাট ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করেন স্থনীয় কয়েক হাজার নারী পুরুষ।

বিরতির পর কিছুটা গুছিয়ে খেলতে থাকে বড়ইতলি দল। ম্যাচের ২০ মিনিটে বান্দরবান জেলা দলের চৌকষ মিডফিল্ডার সুমনের চমৎকার ভলি থেকে ফিরতি বলে গোল করে ব্যবধান কমান ৮ নম্বর জার্সির বান্দরবান জেলা দলের খেলোয়াড় উচহ্লা।

ম্যাচের শেষ প্রান্তে এসে হানসামা দলকে কিছুটা রক্ষনাত্বক ভুমিকায় দেখা গেলেও সমতা আনতে মরিয়া হয়ে ওঠা বড়ইতলির খেলোয়াড়রা শেষ পর্যন্ত আর প্রতিপক্ষের জালে বল ছোঁয়াতে পারেনি।

ফলে( ২-১) গোলে হানসামার কাছে পরাজয় মেনেই মাঠ ছাড়ে তারা।

ম্যাচ শেষে বিজয়- বিজীত দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা।

এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দীন, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব অসীম বড়ুয়া, কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাশ, সংগঠক সাফোচিং জুনু উপস্থিত ছিলেন।

ম্যাচের বিজয়ী দলকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত তরফ থেকে ১০ হাজার, বিজীত দলকে ৭ হাজার এবং আয়োজক কমিটিকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়।

 

শেয়ার করুন