ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে বান্দরবানে সরকারি কোনো ব্যবস্থা নেই, শীঘ্রই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে: সিভিল সার্জন

প্রতীকি ছবি

দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে বান্দরবানেও ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এজন্যে জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে শীঘ্রই বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু।

তিনি জানান, বান্দরবানে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়না। তাই এখানে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়েরও তেমন ব্যবস্থা নেই। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের কিটও সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় না। তারপরও ঢাকা থেকে আসা বাসগুলোর মাধ্যমে কোনোভাবে ডেঙ্গু রোগবাহী মশা এখানে আসছে কীনা তা ভেবে দেখা হচ্ছে। জেলা পরিষদ ও পৌরসভার সাথে কথা বলে ডেঙ্গু রোগ সনাক্তকরণ কিট জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। এটা যাতে কোনোভাবেই এখানে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যে আমরা কাজ করছি।

বান্দরবানের বেসরকারি হাসপাতাল ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক পারখুম লুসাই জানান, আমাদের কাছে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। জ্বর হবার পাঁচ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করালে সেটির মূল্য ৮শ’ টাকা, ৫ দিনের পর পরীক্ষা করালে সেটির মূল্য ৭শ’ টাকা।

এর মধ্যে বেসরকারি মেডিকেল, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার ফি নির্ধারণ এবং তা সবার সাধ্যের মধ্যে রাখার ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতাল যাতে বিনামূল্যে এ দুই রোগের পরীক্ষা করা যায় সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেন, বেসরকারি মেডিকেল, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার ফি যেন ব্যয়বহুল না হয়, জনগণ যাতে সাধ্যের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় সে জন্য একটি ফি নির্ধারণ করে দিতে হবে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতাল যাতে বিনামূল্যে এ দুই রোগের পরীক্ষা করা যায় সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।



শেয়ার করুন