কেমন হবে জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান?

আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হবে বাইডেনের। ওইদিন দুপুরে বিদায় নেবেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আসন্ন অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান কেমন হতে পারে তা নিয়ে অনেকের মনে কৌতুহল রয়েছে।  ওই অনুষ্ঠান নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আলোচিত ওই শপথ অনুষ্ঠান আকারে খুব একটা বড় হবে না। করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি মাথায় রেখে ছোট কলেবরে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছে ডেমোক্র্যাট শিবির। 

দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, মহামারীর মধ্যে আমেরিকার জনগণকে নিরাপদ রাখা তার লক্ষ্য। তবে করোনা বিধিনিষেধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মার্কিনিদের অভিষেক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

এদিকে ট্রাম্পের অন্ধ রিপাবলিকান সমর্থকরা এখনও ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে। তবে তাদের সে প্রচেষ্টা যে হালে পানি পাবে না তা দিন যত যাচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে।  ট্রাম্পের ইলেকটোরাল ভোট বানচালের তেমনই একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাম্পের নিযুক্ত ফেডারেল বিচারক জেরেমি কেরনোডল।

ট্রাম্প আর বাইডেনের মধ্যে বিপরীতমুখী চরিত্রের একটি ধারণা পাওয়া যাবে তাদের অভিষেক অনুষ্ঠান লক্ষ্য করলে। চার বছর আগে ট্রাম্পের অভিষেকের পর কয়েকদিন ধরে আলোচনা ছিল অভিষেক অনুষ্ঠান নিয়ে। ট্রাম্প নিজেই সে আলোচনা উসকে দিয়েছেলেন। 

তিনি দাবি করেছিলেন, তার অভিষেক অনুষ্ঠান ছিল লোকে লোকারণ্য। ২১ জানুয়ারি, ২০১৭ তিনি টুইট করেছিলেন-অসাধারণ জমায়েত হয়েছে। মানুষের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ, না আরও বেশি ১৫ লাখ। হোয়াইট হাউসের সে সময়ের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার তো আরও এগিয়ে সেটাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিষেক অনুষ্ঠান বলে দাবি করেছিলেন।   

তবে পর্যবেক্ষকরা ধারণা, ২০১৭ সালে ৫ লাখের মতো মানুষ ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে হয়তো উপস্থিত ছিলেন। তার আগে ২০০৯ সালে বারাক ওবামার অভিষেকে উপস্থিত ছিলেন অন্তত ১৮ লাখ মানুষ। সেটিই ছিল সবচেয়ে বড় অভিষেক অনুষ্ঠান।

অভিজ্ঞ রাজনীতিক বাইডেনের কাছে এসব জাঁকজমকের খুব একটা বালাই নেই। তিনি চান মানুষের মধ্যে করোনা আরও ছড়িয়ে না পড়ুক। 

তবে একেবারে বঞ্চিতও করতে চান না ভক্তদের। ফলে অভিষেক অনুষ্ঠান হবে সীমিত আকারে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে। 

অভিষেক অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ‘দ্য জয়েন্ট কংগ্রেসনাল কমিটি অন ইনঅগুরাল সিরিমনিজ (জেসিসিআইসি)’ দুই সপ্তাহ আগে জানিয়েছে, ক্যাপিটল তথা মার্কিন কংগ্রেসের ওয়েস্ট ফ্রন্টে আয়োজন হবে প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান। তাতে উপস্থিতির সংখ্যা কাটছাঁট করা হবে। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এমনটি করা হবে। 

শেয়ার করুন