সুনামগঞ্জে নিজ অর্থে রাস্তা মেরামত করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিজ অর্থে রাস্তা মেরামতে নিজেও কাজ করছেন চেয়ারম্যান প্রা্র্থী। ছবি: খোলাচোখ

মো. জামাল হোসেন তার নাম। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের রাস্তা নিজ অর্থে সংস্কার করেছেন।

সোমবার মিছাখালি রাবার ড্যাম হতে শক্তিয়ারখরা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি প্রায় ১ কিলোমিটার। জামাল হোসেন নিজে শ্রমিকদের সঙ্গে থেকে রাস্তাটি মেরামত করেছেন।

পুরানগাঁও গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে শক্তিয়ারখলা বাজারে আসতে হয়। এতদিন খুব কষ্ট করে আসতাম। আজকে রাস্তায় কাজ করার ফলে আসতে কোন সমস্যা হয়নি। আমার পক্ষ থেকে জামাল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই এই রাস্তার কাজ করে দেওয়ার জন্য।

বসন্তপুর গ্রামের বকুল মিয়া বলেন, শক্তিয়ারখরা বাজারে দরকার থাকার পরও আসতে পারি না শুধু এই রাস্তায় কাদা থাকার কারণে। জামাল হোসেন এই রাস্তার কাজ কারায় ইউনিয়নের উলাসনগর, বসন্তপুর, পুরানগাঁ, জলিলপুর, গন্ডামারাসহ আশেপাশের মানুষের এই রাস্তা দিয়ে চলাচলের উপযোগী হয়েছে।

গন্ডামারা গ্রামের কৃষক আলেক মিয়া বলেন, ‘আমাকে ব্যবসায়ীক কাজে প্রতিদিন শক্তিয়ারখলা বাজারে আসেতে হয়। রাবার ড্যাম হতে শক্তিয়ারখলা বাজার পর্যন্ত রাস্তায় কাদা থাকার কারেণ খুব দুর্ভোগ পোহাতে হতো। আজকে রাস্তার সংস্কার কাজ করা দেখে খুব ভালো লেগেছে।’

বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়ন মোটরসাইকেল মালিক-চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ বলেন, ‘এই রাস্তার কারণে আমরা লাউড়ের গড়, বিন্নাকুলি, যাদুকাটা নদী, বসন্তপুর বাজারের দিকে যাত্রী নিয়ে যেতে পারি না। চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল হোসেন এই রাস্তার সংস্কার কাজ করে দেওয়ায় আমাদের মোটরসাইকেল মালিক-চালক সমিতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

সোমবার রাস্তা মেরামতকালে চেয়াম্যান প্রার্থী জামাল হোসেন বলেন, ‘দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের কেন্দ্রস্থল হলো শক্তিয়ারখলা বাজার। কারণ এখানে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শক্তিয়ারখলা উচ্চ বিদ্যালয়। যার কারণে প্রতিদিন উলাসনগর, বসন্তপুর, পুরানগাঁ, জলিলপুর, গন্ডামারাসহ আশ পাশের এলাকার প্রায় ১ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করে। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষাকাল আসলেই এই রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে কাদা জমে যাওয়ার কারণে এ রাস্তা দিয়ে গাড়িতে চলাচল করলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া সাধারণ মানুষ হেঁটে চলাচল করতে পারে না। তাই আমি এলাকার যুবকদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার কাজ করছি।’

শেয়ার করুন