লোহাগাড়া থেকে বালাঘাটা কেন গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহিউদ্দিন?

বান্দরবান শহরের বালাঘাটার সিকদার পাড়ায় করোনো পজেটিভ ব্যক্তি অবস্থান করছে জানার পর প্রশাসন ওই বাড়ী লকডাউন করে দেয়। ছবি- খোলা চোখ ডটকম।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান – লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত পরিসংখ্যানবিদ বান্দরবানের বালাঘাটার বাসিন্দা মোঃ মহিউদ্দিনের প্রথম দফা টেস্টে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিলো। আর সেই নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েই তিনি বান্দরবানে নিজ বাড়িতে এসেছিলেন। খোলা চোখ-এর এই প্রতিবেদককে সোমবার দুপুরে এসব কথা জানিয়েছেন মহিউদ্দিন।

তিনি বলেন, এখন থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে প্রথম দফা টেস্টে লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৬ কর্মীর সবার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর তিনি শুক্রবারে পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং জুমার নামাজের পরে নিজের মায়ের কবর জেয়ারতের জন্যে বান্দরবান যান।

নিজে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কায় নয়, বরং অন্যদের কাছ থেকে সংক্রমিত হবার আশংকায় তিনি মসজিদেও যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেন বলে দাবি করেন।

প্রথম দফা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট পাবার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব কর্মী নিশ্চিন্তে অফিস এবং চলাফেরা করছিলেন। পরে সাতকানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্য পরিদর্শকের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। যিনি তার পরিবারের সাথে লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। তখন লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব কর্মীকে আবারো করোনা পরীক্ষা করানো হয়। যেটার রিপোর্ট আসে ১০ মে রোববার। সেখানে ১৬ জনের মধ্যে ১২ জনের পজিটিভ পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের সরকারি অনুমতি রয়েছে জানিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, রেইছা চেক পোস্টে স্বাস্থ্যকর্মী পরিচয় দিয়ে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েই তিনি বালাঘাটায় পরিবারের কাছে যাবার অনুমতি নিয়েছিলেন।

রবিবারে পজিটিভ রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত তারা সবাই আগের নেগেটিভ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নিজেদেরকে সংক্রমিত নয় ভেবেই স্বাভাবিক চলাফেরা করেছেন।

বর্তমানে তিনি লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে আছেন। শরীরে এখন পর্যন্ত করোনার কোনো উপসর্গ নেই বলেও জানান মহিউদ্দিন।

শেয়ার করুন