লামায় মাঝ নদীতে জুয়ার আসর !

বান্দরবানের লামার মাতামুহুরী নদীতে নৌকা নোঙ্গর করে চলে রমরমা জুয়ার আসর। ছবি- রফিকুল ইসলাম।

বান্দরবানের লামায় অভিনব কায়দায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। মাতাহমুহুরী নদীর মাঝখানে ইঞ্জিন চালিত নৌকা বেঁধে সংঘবদ্ধ কয়েকটি গ্রুপ প্রতিনিয়ত বসাচ্ছে জুয়ার আসর।

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইয়াংছামুখস্থ মাতামুহুরী নদীতে দীর্ঘদিন যাবৎ এই জুয়ার আসর চলে আসছে বলে জানায় নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা। তবে জুয়াড়িদের ভয়ে তাদের নাম কেউ বলতে চায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইয়াংছামুখস্থ মাতামুহুরী নদীতে দুই-তিনটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা নোঙ্গর ফেলে দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেকটি নৌকার ভিতরে ৭/৮ জন মানুষ জুয়া খেলছে। তাদের সাথে কথা বলতে ডাকলে তারা তীরে না এসে নৌকা চালিয়ে পালিয়ে যায়।

নদীর ওপারের মানিকপুর পুরাতন বাজারের বাসিন্দা জুয়ায় ব্যবহৃত নৌকার মাঝি মো. হেলালকে  তীরে আসতে বললে সে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে দ্রুত স্থান থেকে সরে পরে।

ইয়াংছামুখ এলাকার বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহাম্মদ (৫৫), পাইলা পাড়ার বাসিন্দা মো. সেলিম (৩৮), ইয়াংছা মুখ নৌকা ঘাটের মাঝি আব্দুল কাদের (৩৪) বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লামা, আলীকদম ও চকরিয়া উপজেলা হতে অনেক মানুষ এসে এখানে নৌকা ভাড়া করে নদীর মাঝখানে দাঁড় করিয়ে জুয়া খেলে। তারা অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।

খবর নিয়ে জানা যায়, এই জুয়াড়ি চক্রটি ইয়াবা পাচার সহ মোটর সাইকেল চুরি ও রাতে গাছ পাচারের সাথে জড়িত। দিনে জুয়া খেলে আর রাতে এইসব অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকে। এইসব জুয়াড়িরা ইয়াংছা বাজার হতে ইয়াংছামুখ রোড়ে যাতায়াত করে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। বিষয়টা খবর নিয়ে দেখছি।

এই বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি 

শেয়ার করুন