রেড জোন বান্দরবানে ওষুধ কিনতে যাওয়া নারীকে হয়রানির অভিযোগ

রেড জোন ও লকডাউন ঘোষণার পর বৃহষ্পতিবার দুপুর ২টায় বান্দরবান শহরের ব্যস্ততম ট্রাফিক মোড়। ছবি: রফিকুল আলম মামুন

রেড জোন ঘোষিত বান্দরবান পৌর এলাকায় ওষুধ কিনতে যাওয়া এক নারীকে পুলিশী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বৃহষ্পতিবার বিকালে বান্দরবান সদর থানার সামনে থেকে তিনিসহ বেশ কয়েকজনকে থানায় বসিয়ে রাখা হয় বলে জানান ভুক্তভোগী নারী কামরুন্নেসা (৪৫)।

বান্দরবান সদরের ইসলামপুর অফিসার্স ক্লাব এলাকার বাসিন্দা ওই নারী খোলা চোখ-এর এই প্রতিবেদককে জানান, ‘বিকালে আমার ৮ বছর বয়সী ছেলের ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলাম। তখন থানার সামনের রাস্তা থেকে পুলিশ আমাদেরকে থানার ভেতরে যেতে বলে। ওষুধের প্রেসক্রিপশন দেখানোর পরও অন্য বেশ কয়েকজনের সাথে আমাকে থানার একটি কক্ষে প্রায় দুই ঘন্টা বসিয়ে রাখে। মাগরিবের নামাজের পর ছেড়ে দিলে আমি বাজার থেকে ওষুধ কিনে বাড়িতে ফিরে আসি।’

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোস্ট দেন ওই নারীর ভাগিনা সাজ্জাদ হোসেন। তিনি লেখেন, ‘প্রশাসনের যদি এমন আচরন হয়, তাহলে আমরা সাধারণ মানুষরা কি বিনা চিকিৎসায় মারা যাব?’ অনেকে সেখানে পুলিশী ব্যবস্থার সমালোচনাও করেন।

এ ব্যাপারে বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘রেড জোন ঘোষিত এলাকায় লকডাউনের সময় কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবেনা। ঔষধ, চিকিৎসা বা অন্য যে কোনো প্রয়োজনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাহায্যে বিশেষ ব্যবস্থায় সেবা নিতে হবে।’

‘লোকজন খুব তুচ্ছ অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। আমরা এমনও একজনকে পেয়েছি যিনি মেয়ের বাড়িতে আম পৌঁছে দেবার জন্য বাসস্টেশন এলাকা থেকে কালাঘাটার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।’

‘তারপরও কোনো নাগরিক যদি অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন, সেজন্যে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীকাল থেকে আমরা এসব ব্যাপারে আরো খানিকটা বিবেচনা করার চেষ্টা করবো। লকডাউনের ব্যাপারে প্রশাসনের যে লিখিত আদেশ, সেটা সবাইকে মেনে চলতে হবে। জরুরি এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনগণের সহায়তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রেড জোন ঘোষিত বান্দরবান সদর উপজেলা, পৌর এলাকা এবং রুমা উপজেলায় ১০ জুন দুপুর ১২টার পর থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।

শেয়ার করুন