মুক্তিযোদ্ধারা যাতে আরও স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সেজন্য তাদের মাসিক সম্মানি ৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ সুপারিশ করে।
এছাড়া নিজ নিজ এলাকার সড়কের নামগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক প্রাপ্ত সম্মানী আট হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে বিশ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং মোছলেম উদ্দিন আহমদ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সকল প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার সংক্রান্ত সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের যোগাযোগ রয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানে প্রদান করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কিছু কার্যক্রমের বিপক্ষে সংসদীয় কমিটির নিকট বেশ কিছু লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খানকে আহ্বায়ক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয় মুক্তিযুদ্ধের নামে কিছু ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সে সকল প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় নিরূপণে গেজেটেড সংজ্ঞা রয়েছে। এ সংজ্ঞায় আরো কোনো শব্দ যোজন-বিয়োজন বা পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তা নিয়ে আগামী বৈঠকে আরো বিশদ আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়