বান্দরবানে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায়’ আসছে নতুন সংগঠন- সাবেক আমলা, সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ রাজনীতিকদের বৈঠক

বান্দরবানে নতুন সংগঠনের পরিকল্পনা করতে আয়োজিত বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ।

বান্দরবান পার্বত্য জেলাসহ তিন পার্বত্য জেলায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়নসহ নানা লক্ষ্য নিয়ে একটি নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। তবে সংগঠনটির এখনো কোনো নাম নির্ধারণ হয়নি, কোনো কমিটিও গঠিত হয়নি বলে জানিয়েছেন এর প্রস্তুতি বৈঠকে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদরের সাবেক আমলা ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব এর বাসভবনে সংগঠনের প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) মোঃ আয়ুব, জেলা বিএনপি ’র নেতা অধ্যাপক মোঃ ওসমাণ গণি, বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা কাজী মজিবর রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আইয়ুব চৌধুরী, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) মোঃ তারু মিয়া, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি আবুল কালাম, শামসুল হক শামু। প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি সময় চলে বৈঠকটি।

বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা কাজী মজিবর রহমান জানান, ‘সংগঠনের কোনো নামকরণ হয়নি আসলে। আমাদের কোনো কমিটি হয়নি। কোনো ব্যনারও ছিলোনা। ওহাব সাহেব আমাদেরকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা ওখানে সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাবেক সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, জনপ্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন মানুষ বসেছি। আমরা বলেছি উনারা ভালো কিছু করতে পারলে আমরা সেটার সাথে আছি।’

সভার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে চাই। সম্প্রীতিতে থাকতে চাই। সরকারের সাথে ভালোভাবে সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চাই এবং নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে থাকতে চাই। এখানে জামাতের কোনো লোক ছিলোনা। বিএনপির লোকজন ছিলো। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের লোকজন ছিলো। পরবর্তীতে আমরা আবার বসবো। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ইমাম- এ ধরনের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে পাহাড়ি-বাঙালি সবার সাথে আস্তে আস্তে আমরা কিছু কিছু মতবিনিময় করবো। সবাই সমর্থন দিলে তখন সংগঠনের নাম ও কমিটি ঠিক করে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবো।’

বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ওসমান গণি জানান, ‘আমরা একটা বৈঠকে বসেছিলাম। ওহাব সাহেব দাওয়াত দিয়েছেন। আমি বলেছি আমরা এমনিতেই হামলা-মামলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছি। আমাদেরকে রাখলে নতুন সংগঠনও ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারে। আপনারা বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একজন জানান, ‘শুরুতেই বান্দরবান থেকে সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতেও সংগঠনটি কার্যক্রম চালাবে। তিনি জানান, তিন জেলার দলীয় রাজনীতির বিদ্রোহী ও বহিস্কৃত নেতারা ছাড়াও সাবেক সেনা কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সচিব, জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই সংগঠনের নেতৃত্বে থাকবেন।

শেয়ার করুন