গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুর্ণমিলনী উৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্ন

আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়ির গুইমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবকে ঘিরে গুইমারা উপজেলায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এ উৎসবকে ঘিরে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে।
উৎসব উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা ও সদস্য সচিব মো: আমির হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এতে উৎসব মুখোর পরিবেশে এ আয়োজনে অংশ নেবেন।

বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালীসহ নানা আয়োজন। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটায় স্মারক গ্রহন দিয়ে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। দেশবরেণ্য শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাত ১১টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তির কথা রয়েছে। এ আয়োজনে নানা সম্প্রদায়ের নানা বয়সের মানুষ রঙ বিরঙের সাজে অংশ গ্রহন করবে বলে জানান আয়োজক কমিটি। এছাড়াও নানা ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আলাদা আলাদা ব্যানারে অংশ গ্রহন করবে।

পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমা জানান, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত গুইমারার এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ পুনর্মিলনীতে দল,মত নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ গ্রহণের মাধ্যমে এই উৎসবকে সফল করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ উৎস গুইমারাবাসীর। তাই সকলে মিলেমিশে পুনর্মিলনীকে সফল ও সার্থক করতে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো: আমির হোসেন বলেন, ইতি মধ্যে পুনর্মিলনীকে সফল করতে সব ধরনের আয়োজন নিশ্চিত করা হয়েছে। এ আয়োজনের গুইমারা স্কুল প্রাঙ্গনে আলোচনা সভাসহ সাংস্কৃতিক আয়োজনের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে এ উৎসব গুইমারার সর্ব বৃহত্ত উৎসে পরিণত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

শেয়ার করুন