গাইবান্ধায় বন্যার্তরা তীব্র খাদ্য সংকটে

গাইবান্ধায় বন্যা। ফাইল ছবি

গাইবান্ধায় বন্যাকবলিত দুঃস্থ পরিবারগুলো এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পায়নি বলে অভিযোগ করেছে। যে কারণে তারা তীব্র খাদ্র সংকটে পড়েছে।

গত কয়েকদিন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদসহ যমুনা, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি কমে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘটের পানি স্থির রয়েছে।

এদিকে কয়েকদিন বৃদ্ধির পর বৃহস্পতিবার করতোয়ার পানি কমতে শুরু করেছে কিন্তু তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। পানি বৃদ্ধি ও হ্রাসের এই সময়ে গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন।

কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম বলেন, ইউনিয়নটিতে মোট লোকসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এরমধ্যে ১৪ হাজার মানুষ অভাবী। নদী ভাঙনের কারণে এ ইউনিয়নে অভাবী লোকের সংখ্যা বেশি। কিন্তু সে অণুপাতে ত্রাণ বরাদ্দ পাইনি। বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ১৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। যা ১০ কেজি করে এক হাজার ৪০০ জনের মধ্যে বিতরণ করেছি। এ ছাড়া ২২০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে হাতে কোনো ত্রাণ নেই। তাই দিতে পারছি না। বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে ত্রাণ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রসুন কুমার চক্রবর্তী বলেন, কামারজানি ইউনিয়নে অভাবী লোকের সংখ্যা বেশি। কিন্তু অভাবী লোকের হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয় না। প্রতিটি ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কামারজানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিশ আলী জানান, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি নেমে যাওয়ার সাথে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী ১৩টি পয়েন্টে গত দুইদিনে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও প্রচুর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণের জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন