করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট সংকট নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা-উদ্বেগেই ছিল চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ১৯২০ কিট পৌঁছেছে চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের (বিআইটিআইডি) পরিচালক এসব কিট গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় কিট সংকট কেটে যায়। জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকেই বিআইটিআইডি কিটের সংখ্যা কমার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়, সঙ্গে তৈরি হয় শঙ্কা। এরপর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাছান চৌধুরীর তৎপরতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ১৯২০ কিট চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কিটগুলো রি-এজেন্টসহ গ্রহণ করে নিজের গাড়িতে সেগুলো বিআইটিআইডি ল্যাবে পৌঁছে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের জন্য আরও ৫ হাজার কিটের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়।
বিআইটিআইডির পরিচালক ডা. এম এ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে ১৯২০টি কিট আমরা পেয়েছি। এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় কিট সংকট কেটে গেল। একই সঙ্গে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আরও ৫ হাজার কিটের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিআইটিআইডির ল্যাবটি মানসম্পন্ন। আমরা সব সময় মানসম্পন্ন উপকরণ ব্যবহারের চেষ্টা করি। করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকেই সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে এবং গুরুত্ব দিয়ে টেস্ট করা হচ্ছে।’’
জানা যায়, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জেনারেল হাসপাতালে ১০০ শয্যা এবং বিআইটিআইডিতে ৩০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়। তবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে একমাত্র বিআইটিআইডির ল্যাবে। ফলে এ ল্যাবে কিট সংকট দেখা দিলে সর্বত্র উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ক্রমবর্ধমান হারের কারণে সকলের মধ্যে এ আতঙ্ক তৈরি হয়। চট্টগ্রামে বর্তমানে ৩৩ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন মারা যান। বর্তমানে জেনারেল হাসপাতাল ও বিআইটিআইডির আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ২৮ জন।