সেলফি তোলেন, তবে কী আপনি সেলফাইটিস রোগে আক্রান্ত?

সেলফি। বর্তমান সময়ের সকলের কাছে অতি চেনা শব্দ। আজকের দিনে শুধু মোবাইলে একটা ক্লিক, আর সঙ্গে সঙ্গে নিজের মুখের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া যায় নিজের পছন্দের মানুষ থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব সকলকে।

কিন্তু প্রযুক্তি যেমন দ্রুত এগুচ্ছে, তাতে করে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবেই। সে রকমই সেলফি যারা বেশি তোলেন, তারা সেলফাইটিস রোগে আক্রান্ত নন তো? এই প্রযুক্তিতে যদি আপনি বেশি ঢুকে পড়েন তাহলে বিপদ বাড়বেই, সেরকমই বলছে তথ্য।

আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে দেখে নিন সেলফাইটিস রোগের তিনটি ধাপ যার থেকে আপনি বুঝে যাবেন এই রোগে আপনি আক্রান্ত কিনা?

১। ক্রনিক সেলফাইটিস-

যারা খুবই সেলফি তুলতে পছন্দ করেন, দিনে প্রায় ছয় থেকে সাতটার বেশি সেলফি তোলেন তারা এই ধাপে রয়েছেন। আর সেলফি যখন তুলেছেন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড তো করতেই হবে। দিনে দু-তিন বার প্রোফাইল পিকচার চেঞ্জ করা, সোশ্যাল স্যাবি যারা তারাও এই ধাপেই রয়েছেন।

২। বর্ডার লাইন সেলফাইটিস-

এই ধাপে যারা রয়েছেন তারা সেলফি তোলেন, তবে তা অনেকাংশে কম। কিন্তু এরা সেলফি তুললেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন না। নিজের কাছেই রেখে দেয়। তাই এই ধাপের লোকেদের ভয় একটু কম। তবে সংখ্যা টা বেড়ে গেলেই বিপদ।

৩। অ্যাকিউট সেলফাইটিস-

এ ধাপে যারা রয়েছেন তারা সেলফি তুলে থাকেন, তবে সংখ্যাটা কম। কিন্তু তারা খুব মাত্রায় সোশ্যাল-স্যাবি হয়ে থাকেন। তাদের প্রত্যেকটা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা চাইই চাই।

তাই সেলফি তোলার অবশ্যই সাবধান হয়ে যান। সেলফি যেন কোন ভাবেই আপনার রোগের কারণ না হয়।

শেয়ার করুন