সুনামগঞ্জে জাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু লুট করার সময় ১১ জন শ্রমিককে আটক করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত দেড়টায় তাদের আটক করা হয়।
বুধবার পুলিশ জানায়, জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচর আমড়িয়া গ্রামের বিল্লাল মিয়া, জুলহাস মিয়া, হযরত আলী, ফালান মিয়া, মরম আলী, সোহেল মিয়া, রমজান আলী সিরাজপুর বাগগাঁও গ্রামের নুরুজ্জামান, সেলিম হাসান জনি, তাহিরপুর উপজেলার লামাশ্রম গ্রামের মোক্তার হোসেন, বিন্নাকুলি গ্রামের শাহাব উদ্দিনসহ ১১ শ্রমিককে মঙ্গলবার রাত দেড়টায় আটক করা হয়।
এরপর বুধবার সকালে থানার এসআই দীপঙ্কর বিশ্বাস বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮ হতে ১০ জনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশের অন্য জেলার মতো সুনামগঞ্জ জেলাব্যাপী লকডাউন চলছে। এ সময় বালু পাথর লুটেরা চক্র নেপথ্যে থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাহিরপুরের ঘাগটিয়া গ্রামের বড়টেক এলাকার পাকা সড়কের সামনে ও আদর্শ গ্রামের সামনে সীমান্তনদী জাদুকাটার তীর কেঁটে বালু লুট করতে শতাধিক শ্রমিককে নামায়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জীকে মঙ্গলবার রাতে নদীর তীর কেটে বালু লুটের বিষয়টি এলাকাবাসী অবহিত করে। তখন তারা নদীর তীর কাটা বন্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এরপর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে জাদুকাটা নদীতে অভিযানে নেমে ওই ১১ শ্রমিককে আটক করে।
বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম বলেন,‘পরিবেশ বিপন্ন করে কেউ নদীর তীর কেটে বালু লুট করতে নামলে আমাদের খবর দেবেন। এলাকার লোকজন সংগঠিত হয়ে তাদের, তাদের বালু বোঝাই নৌকা, বালু লুটের সরঞ্জামাদি আটকে রাখবেন। আমাদের জানালে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নিবো।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু লুট বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।