লকডাউনের মধ্যেই খোলা হচ্ছে শপিংমল

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় চলমান লকডাউনের মধ্যেই দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২৫শে এপ্রিল রবিবার থেকে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে খোলা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বাজার বা সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যেই দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ‘ব্যাপক মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি বিবেচনা করে’ নতুন এ নির্দেশনা জারি করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ই এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচলে নানা বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ আর বেড়ে যাওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত গত ১৪ই এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে সাতদিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এ লকডাউনে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে শিল্প-কারখানা ও ব্যাংক খোলা রাখা হয়।

এরপর করোনা সংক্রান্ত কারিগরি কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, সরকার লকডাউনের সময় আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবি আসে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দোকানপাট ও শপিংমল খোলার প্রজ্ঞাপন জারি করা হল।

বাংলাদেশে এখনো প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, তার আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৯৮ জন মারা গেছেন। আর এই সময়ে নতুন করে ৪,০১৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৭ হাজার ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আক্রান্তদের তথ্য পাওয়া গেছে। সেই হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৪.৬৩ শতাংশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪ জন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ১০,৭৮১ জন। আর এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৭৭ হাজার ১১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন