মিয়ানমার থেকে আরো ১০৩ টন পেঁয়াজ এসেছে

মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার (২৫ নভেম্বর) আরও প্রায় এক হাজার ১০৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এ নিয়ে চলতি মাসে প্রতিবেশী দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৭ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন। আর পাঁচ মাসে দেশটি থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪২ হাজার ৪৫৩ মেট্রিক টন। যদিও এত পেঁয়াজ এনেও বাজারদরে লাগাম টানা যাচ্ছে না।

সোমবার এক হাজার ১০৩ দশমিক ৭১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আমদানির তথ্য বাংলানিউজকে জানান টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে গত আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রথম চালান টেকনাফে পৌঁছে। সেই থেকে এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৪৫৩ দশমিক ২৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে দেশটি থেকে।

এদিকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশে এই মসলা-উপকরণের সংকট কমাতে মিয়ানমার এর আমদানি বাড়িয়ে দেওয়া হলেও স্থানীয় বাজারে কোনো প্রভাবই পড়ছে না। হু হু করে পেঁয়াজের মূল্য প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থা এ নিয়ে তদারকি করলেও পেঁয়াজের দরের লাগাম টানার ক্ষেত্রে তা ‘অপ্রতুল’ই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন জানান, প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের চালান আসছে। অন্যান্য খরচ বাদে কেজিপ্রতি সাড়ে ৪২ টাকা দামে পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে না।

সোমবারও দেশি পেঁয়াজ ২২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বাজারগুলোতে। অন্যদিকে আমদানি করা বিভিন্ন দেশের (মিয়ানমার, মিশর, তুরস্ক, চীন) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।

জানা যায়, মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে খালাস হওয়ার পর সরাসরি চলে যায় চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। সেখানে একাধিক হাত বদল হওয়ার পর সেই পেঁয়াজ দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেঁয়াজ গুদামজাতকরণ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে মসলাটির এমন অগ্নিমূল্য দাঁড় করিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের দাবি, মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কারণে বাড়তি দামে মসলাটি আমদানি করতে হচ্ছে। তাই আগের তুলনায় দাম একটু বাড়তি। 

টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, প্রায় পাঁচ মাস ধরে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি চলছে। আমরাও যত দ্রুত সম্ভব এসব পেঁয়াজ খালাস দিচ্ছি।

শেয়ার করুন