নাইক্ষ্যংছড়িতে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

সেতুর অভাবে নাইক্ষ্যংছড়ির বিছামারা এলাকার স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ একটি খাল পারাপারে ব্যবহার করছেন ঝুঁকির্পূণ সাঁকো।

মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি,বান্দরবান।। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বিছামারা এলাকায় একটি সেতুর অভাবে বাঁশের তৈরি সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে কয়েক হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্কুলগামী শিশুশিক্ষার্থীসহ অনেকে।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জেলা পরিষদসহ সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিছামারা একটি জনবহুল গ্রাম। নাইক্ষ্যংছড়ি খালের দুই পারে এই গ্রামটিতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার লোকের বসবাস। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বসবাস এখানে।

অপরদিকে দক্ষিণ তাংরা বিছামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশত শিক্ষার্থীর যাওয়া আসার একমাত্র ভরসা বাঁশের তৈরি এই সাঁকোটি। সম্প্রতি স্কুলে যাওয়ার সময় এই সাঁকো ভেঙে পড়ে গিয়ে কোমলমতি কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।

ব্রীজ না থাকায় উৎপাদিত কৃষিজসামগ্রী বাজারজাতকরণে দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা। ফলে সময়মতো কৃষিজপণ্য বাজারজাত করতে না পারায় আর্থিকভাবে লোকসানের মুখোমুখি হন এখানকার ভূক্তভোগী কৃষকরা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিছামারা গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচলের জন্য নিজেদের উদ্যোগে এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মীর আহাম্মদ মেম্বার জানান, কয়েক যুগ ধরে এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি। প্রতিদিন মানুষের চলাচলের সময় দুর্ভোগের শেষ নেই।
তাংরা বিছামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে বিছামারা গ্রামের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে আসতে বাঁশের সাঁকো পারাপার হতে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। কিছু দিন আগে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসার সময় সাঁকো থেকে পড়ে মেরুদন্ডে আঘাত পেয়ে ৩ দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

শেয়ার করুন