জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ পাঠক) আব্দুল মান্নান জানান, সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বেড়েছে। ২২সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর, আদ্রা, ঘোষেরপাড়া ও ঝাওগড়া ইউনিয়ন এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী, গুনারীতলা, চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ২০ টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি মানুষেরা আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন উচু সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
এদিকে পানিবন্দি হয়ে থাকার কারণে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট দেখা দিয়েছে শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানিরও।
বন্যার পানিতে পড়ে এখন পর্যন্ত জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুরে সোহান নামে ৭ বছরের এক শিশু মারা গেছে। জেলায় বন্যা দুর্গতদের জন্য ৪৬১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখাসহ জরুরি সেবা দানের জন্য সাত উপজেলায় ৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী।