উন্নয়নের স্বার্থে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি ক্রয় বা লিজ নেওয়াসহ বিদ্যমান ইমারত, কারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণ করার ক্ষমতা দিয়ে ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল ২০১৮’ ও ‘খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল ২০১৮’ পাস করেছে জাতীয় সংসদ।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে আজ সংসদের স্থিরিকৃত আকারে বিল দু’টি কন্ঠভোটে পাস হয়। বিল দু’টি পাস করার প্রস্তাব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন।
এরআগে ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিলের ৭ ও ৮ দফায় কৃতপক্ষের চেয়ারম্যান নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম (ময়মনসিংহ) আনীত ২টি সংশোধনী গৃহীত হয়। এছাড়া খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিলের ওপর বিরোধী দলের ২টি সংশোধনী গৃহীত হয়। অপর সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভূমি ক্রয়, লিজ গ্রহণের ক্ষমতা দিয়ে বিলে বলা হয়েছে, আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ যেকোন ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিক্রয় বা ভূমি সংশ্লিষ্ট স্বার্থ ক্রয়, লিজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে অর্জন করতে পারবে। একইসঙ্গে জনস্বার্থে প্রয়োজন হলে ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রচলিত বিধি অনুসৃত হবে। পাশাপাশি অর্জিত ভূমি বা অধিগ্রহণকৃত ভূমি কর্তৃপক্ষ বিক্রয়, লিজ বা বিনিময়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে পারবে। এছাড়া এই আইনের অধীনে স্থানীয় কৃর্তপক্ষ জনস্বার্থে কোন ভূমি ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা বা শর্ত আরোপ করতে পারবে বা কোন ইমারত, পূর্তকাজ, কারখানা বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন বা অপসারণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি স্থানচ্যুত বা বাস্তুচ্যুত হলে কৃর্তপক্ষ তাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দি চিট্টাগং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী করে বাংলা ভাষায় ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল ২০১৮’ প্রণীত হয়েছে। একইভাবে দি খুলনা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১ সংশোধন, পরিমার্জন ও যুগোপযোগী করে বাংলা ভাষায় ‘খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল ২০১৮’ প্রণীত হয়েছে। বিল দু’টির খসড়া গত বছর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। বিল দু’টিতে সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
সার ব্যবস্থাপনা সংশোধন বিল উত্থাপিত
এছাড়া আজ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮ বিল উত্থাপন করেন। বিলে ২০০৬ সালের সার ব্যবস্থাপনা আইনে সংশোধনী এনে, মান নির্ধারণ করা হয়নি এমন নতুন রাসায়নিক সার, জৈব সার, জীবাণু সার, মিশ্র সুষম সার, উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক ইত্যাদি সার বাজারজাত করার আগে সরকারের অনুমোদন নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।