ফের অল্পের জন্য মাঝ আকাশে বড় ধরণের দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পেল ইন্ডিগোর দুইটি বিমান। ভারত-বাংলাদেশ আকাশ সীমায় মাঝ আকাশে প্রায় কাছাকাছি চলে আসে ইন্ডিগোর দুইটি বিমান। দুই বিমানের সম্ভাব্য সংঘর্ষ হওয়ার মাত্র ৪৫ সেকেন্ড আগেই কলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে একটি বিমানকে দিক পরিবর্তন করে ডান দিকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই কপাল জোরে রক্ষা পায় কয়েক শতাধিক যাত্রী।
বৃহস্পতিবার এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান ‘বুধবার সন্ধ্যায় ইন্ডিগোর দুইটি বিমান প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিল এবং এতে উভয়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। একটি বিমান চেন্নাই থেকে গুয়াহাটির দিকে যাচ্ছিল এবং অপর বিমানটি গুয়াহাটি থেকে কলকতার দিকে আসছিল। বিকাল ৫.১০ মিনিট নাগাদ ওই দুইটি বিমান পরস্পরের কাছাকাছি চলে আসে।’
জানা গেছে, সেসময় কলকাতার দিকে আসা বিমানটি বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ৩৬ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল এবং অন্য বিমানটি ভারতীয় আকাশ সীমায় ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল।
এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সেই কর্মকর্তা আরও জানান ‘ঠিক ওসময়ই বাংলাদেশ এটিসির তরফে গুয়াহাটি-কলকাতা বিমানের পাইলটকে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় নামিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং ওই বিমানটি যখন সেই নির্দেশ পালন করতে যায় তখনই দুইটি বিমান প্রায় কাছাকাছি চলে আসে।’
কলকাতার এটিসি’র এক কর্মকর্তা তা দেখে তৎক্ষণাৎ চেন্নাই-গুয়াহাটি বিমানটিকে ডান দিকে ঘোরার নির্দেশ দিয়ে কলকাতার দিকে আসা বিমানটির গতিপথ থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন।
যদিও ইন্ডিগো বিমান সংস্থার মুখপাত্র জনিয়েছেন ‘আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত এমন কোন খবর নেই।’
নিয়ম অনুযায়ী দুইটি বিমানের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ফারাক (খাড়া ও আড়াআড়ি) থাকা উচিত কমপক্ষে ১০০০ ফুট। কিন্তু সেখানে কিভাবে দুইটি বিমান প্রায় কাছাকাছি চলে এল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অন্য এক কর্মকর্তা।