প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। মনে রাখবেন প্রত্যক্ষভাবে হোক আর পরোক্ষভাবে হোক বিএনপি নির্বাচনে আসবেই। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সেভাবেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দলের ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করুন, যেখানে যতটুকু দূরত্ব আছে তা দ্রুতই ঘুচিয়ে ফেলুন। কারো বিরুদ্ধে কোন নিউজ দেখতে চাইনা, কোন অভিযোগও শুনতে চাইনা। জনগণের কাছে যান। গণসংযোগ বাড়ান।
সংসদ ভবনে আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির সভায় তিনি এভাবেই দলীয় এমপিদের সতর্ক করে দিতে বিস্তারিত নির্দেশনা দেন। সংসদ ভবনের নবম তলাস্থ সরকারি দলের সম্মেলন কক্ষে দেড় ঘন্টাব্যাপী এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরতেই প্রধানমন্ত্রী আগামী ৮ জুলাই জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ আরো ২৫ বছর বাড়াতে আনীত সংবিধান সংশোধন বিল পাশের দিন সবাইকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক এমপি-মন্ত্রীর জরিপ রিপোর্ট আমার কাছে আছে। জরিপ ও তৃণমূলের মূল্যায়নের মাধ্যমে যাঁকেই মনোনয়ন দেয়া হবে, তাঁর পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এলাকায় গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করেন, তাদের আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ান। দলের মধ্যে কোন ধরণের কোন্দল বা অনৈক্য মেনে নেব না।
তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি আগামী অক্টোবরেই নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে। সেজন্য আমাদের নির্বাচনের দ্রুত প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা দ্রুতই দলের নির্বাচনের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু করব।
বৈঠকে সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এদলে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। কিন্তু প্রার্থীতার নামে অনেকেই রয়েছেন যারা নির্বাচনে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন না, দলের মন্ত্রী-এমপি বিরুদ্ধে কথা বলে দলের দুর্নাম করছেন। এটা সংরক্ষিত নারী আসনেরই হোক কিংবা দলের যে পর্যায়ের নেতাই হোন না কেন, এটা মেনে নেয়া হবে না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাঁর পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এমপি-মন্ত্রী হলে আশেপাশে অনেক সুবিধা শ্রেণি তৈরি হয়, এতে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হন। কিন্তু দলের তৃণমূলের কর্মীরাই আমার কাছে আসল। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এলাকায় গিয়ে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়ুন।