তীব্র স্রোতের কারণে ৪২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট। অবশেষে ৬টি ফেরি চলাচল শুরু করেছে। ফেরিগুলো ধারণ ক্ষমতার অনেক কম যানবাহন নিয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ভাটি ঘুরে বিকল্প চ্যানেল দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে দ্বিগুণেরও বেশি সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনে পদ্মায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে স্রোতের গতিবেগ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে গত শুক্রবার সকালে একটি রো রো ও একটি কেটাইপ ফেরিসহ ২ টি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আসার পথে স্রোতের তোড়ে ভেসে যায়। রোরো ফেরিটি প্রায় ১৭ কিলোমিটার ও কেটাইপ ফেরিটি প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে চলে যায়। শক্তিশালী আইটি জাহাজ দিয়ে ওইদিন বিকেল ৪ টার সময় কেটাইপ ফেরি ও শনিবার বিকেল ৪ টার দিক রোরো ফেরিকে উদ্ধার করা হয়।
যে কারণে বেলা ১১টা থেকে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ প্রায় ৪২ ঘণ্টা পর রবিবার ভোর ৫টা থেকে রোরো ফেরি শাহ পরান, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, মাঝারী ফেরি কুমিল্লা, কেটাইপ ফেরি ক্যামেলিয়া, কলমিলতা, কাকলীসহ ৬ টি ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ফেরিগুলো ধারণ ক্ষমতার অনেক কম যানবাহন নিয়ে সতর্কতার সাথে চলাচল করছে।
ফেরি চলাচল অচলাবস্থার কারণে উভয় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যানবাহন আটকে পড়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।