ভূয়া করোনা রিপোর্ট দেওয়াসহ অসংখ্য প্রতারণায় অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, প্রতারণা মামলার আসামি সাহেদের বিরুদ্ধে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য, সাহেদ যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশনের এএসপি মোতাজ্জেল হোসেন বলেন, সাহেদের দেশত্যাগ সংক্রান্ত একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। এটা ইন্টারনাল চিঠি। চিঠি না এলেও অপরাধী যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য আমরা সব সময় সতর্ক থাকি। এটা আমাদের নিয়মিত কাজ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাহেদ। এ অবস্থায় তাঁর দেশত্যাগের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই তাঁকে দেশত্যাগ করতে না দিতে ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রিজেন্টের প্রধান কার্যালয়, উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়। এতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ নয়জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাহেদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা, এক শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক এবং প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার সুসম্পর্কের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।