যানজটে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন বান্দরবান-চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-কক্সবাজার রুটের যাত্রীরা। ১৬ ডিসেম্বর সকাল থেকেই এই সড়কে যানবাহনের ধীরগতির কারণে নির্ধারিত সময়ের দ্বিগুণ-ত্রিগুণ দেরিতেও গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যযটকদের অনেকে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজেদের ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করছেন। বান্দরবানের ফেইসবুকভিত্তিক নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘বান্দরবানবাসী’ গ্রুপে জয় রাম নামের এক নাগরিক লেখেন, দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট থেকে ছেড়ে আসা পূরবী বাস সন্ধ্যা সাতটায়ও রেইছা পৌঁছাতে পারেনি। অর্থাৎ আড়াই ঘন্টার দূরত্ব পার হতে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও গাড়িটি গন্তব্যে পৌঁছেনি।
দুপুর ১২টা থেকে বিকাল পর্যন্ত একই অবস্থা দেখা যায় মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে নীলাচল এবং বান্দরবান শহরের বাস স্টেশন পর্যন্ত। সে সময় মেঘলা থেকে বান্দরবান বাসস্টেশন পেরিয়ে শহরে ঢুকতে একেকটি গাড়ির গড়ে দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লেগেছে।
এই দীর্ঘ যানজটের কারণে প্রাইভেট গাড়ির অনেক আরোহী মেঘলা ও রেইছা এলাকা থেকে চট্টগ্রাম অথবা কক্সবাজারের দিকে চলে গেছেন বলে জানালেন এ সড়কে চলাচলকারী বেশ কয়েকজন গাড়ি চালক।
হলিডে ইন রিসোর্টের পরিচালক জাকির হোসেন জানান, দিনব্যাপী যানজটের এ খবর পেয়ে অনেক অতিথি তাদের বুকিং বাতিল করেছেন। আগামী ১৭ এবং ১৮ ডিসেম্বরও আমাদের যা বুকিং ছিলো, সেগুলোর বেশ কিছু বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
হোটেল আরণ্য-এর স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কে যানজটের কারণে প্রায় ৩০% অতিথি তাদের বুকিং বাতিল করে দিয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রাস্তার যে অবস্থা তাতে আমরা খবর পেয়েছি অনেকে ৭ ঘন্টায়ও চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান পৌঁছতে পারেনি।
এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি পর্যটন মৌসুমে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।