করোনা মুক্তিতে সফলতার পথে হাঁটছে চীন। এমনই দাবি দেশটির একটি ল্যাবরেটরির। তাদের দাবি তাদের পথ মেনে চললে এই মহামারীকে আটকানো সম্ভব হবে। চীন ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কেস সামনে আসে। তারপর সেটা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসকরা এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঔষধ ও ভ্যাকসিনের খোঁজে রীতিমতো লড়াইতে রয়েছেন।
চীনের একটি ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীদের দাবি, ভ্যাকসিন ছাড়াই তারা আক্রান্তদের ঔষধ দিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারবেন। পাশাপাশি পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তারা রোগীদের মধ্যে স্বল্পস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে তুলতে পারছেন। বেজিংয়ের অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জেনোমিক্সের ডিরেক্টর সানি জাই জানিয়েছেন, এই ওষুধ প্রাণীদের ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘আক্রান্ত ইঁদুরদের ওপর এই পরীক্ষামূলক ড্রাগ ব্যবহার করে অ্যান্টিবডিকে নিউট্রিলাইজ করা হয়েছে। এর পাঁচদিন পরে ভাইরাল লোড কমানো হয়েছে ফ্যাক্টর অফ ২৫০০।’’ এর মানে এই ওষুধ থেরাপিউটিক কাজ করেছে। যে ওষুধ অ্যান্টিবডি নিউট্রিলাইজ করে- তা অনেকাংশেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে তৈরি হয়, যা ভাইরাসের দ্বারা কোষ আক্রান্ত হওয়া আটকায়। তাকে আইসোলেট করে দেওয়ায় কাজ হয়েছে এমন ৬০ জন রোগী সেরে উঠেছেন। রবিবার সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যান্টিবডি রোগের দ্রুত নিরাময়ে এবং রোগ থেকে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কাজ করছে।
চীনে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে পাঁচটি ভ্যাকসিন মানুষের ওপর প্রয়োগ হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে ১২ থেকে ১৮ মাসের আগে ভ্যাকসিন আসা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমেও এই রোগের চিকিৎসার একটা পথ আবিষ্কারের চেষ্টায় আছেন। তারা চেষ্টা করছে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে যা শরীরের মধ্যে তৈরি হয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। চীনে প্লাজমা থেরাপির পর ৭০০ মানুষ এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে লাভবান হয়েছেন।