যেমনটি আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনই হয়েছে। বিশ্বনেতারা এশিয়ার একটি আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সুবর্ণজয়ন্তী স্মারক শীর্ষ সম্মেলন ও তার বর্ধিত আয়োজনে মানবতার পক্ষে দাঁড়াতে পারলেন না। সন্ত্রাসবাদের ধোঁয়াশার অজুহাতে মিয়ানমারের কথিত রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিই শেষ পর্যন্ত টিকে রইল। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান এমনকি মাত্রাতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগের কোনো উল্লেখই তাঁদের ঘোষণায় পাওয়া গেল না। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কানাডার জাস্টিন ট্রুডো কিংবা নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী জাচিন্দা আর্দানের মতো কয়েকজন নেতা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালেও মিয়ানমারের অন্য প্রতিবেশীরা প্রায় সবাই অনেকটা নিশ্চুপই রইলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিংবা চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিচিয়াং যথারীতি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেলেন। ইউরোপ মিয়ানমারে গণহত্যার নিন্দায় সোচ্চার হলেও ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্কের বক্তৃতাতেও প্রসঙ্গটির কোনো উল্লেখ নেই।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ম্যানিলায় সদ্য শেষ হওয়া আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই জোটটির ঘোষণাপত্রের খসড়া সম্পর্কে জানিয়েছিল যে তাতে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে ‘ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী’র মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রদানের গুরুত্বের কথা এতে উল্লেখ করা হচ্ছে। ভিয়েতনামে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ফিলিপাইনে ইসলামি জঙ্গিদের সঙ্গে চলা লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশাপাশি রাখাইনের এই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কথা বিবৃতিতে বলা হয়। শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যানের বিবৃতিতে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের ‘রোহিঙ্গা’ পরিচয়টি ব্যবহার করা হয়নি। রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের ওই পরিচয় পরিহারের জন্য বলেছিলেন। গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া কথিত সন্ত্রাসবিরোধী নিরাপত্তা অভিযানে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি, সহায়-সম্বল ছেড়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে এই অভিযান শুরুর পরপরই আসিয়ানের সদস্য বৃহৎ দুটি আঞ্চলিক শক্তি ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া মিয়ানমার সরকারের জাতিগত নিপীড়ন নীতির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করে। উভয় দেশের মন্ত্রীরা বাংলাদেশে এসে স্বচক্ষে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীদের দুর্দশা দেখে যান। উভয় দেশই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার কথা জানায়। কূটনৈতিক সূত্রে তখন জানা গিয়েছিল যে এই দুটি দেশই সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিতে চেয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক হয় ম্যানিলায় এবং ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন যে বিবৃতি দেন, সেই বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের নির্যাতিত হওয়ার কথা যথাযথভাবে তুলে না ধরায় মালয়েশিয়া সেটিকে আসিয়ানের বিবৃতি হিসেবে গণ্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। অথচ এখন শীর্ষ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটিতে তাদের সোচ্চার না হওয়ার ব্যাখ্যা কী, তা বোধগম্য নয়। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ ইন্দোনেশিয়াও আসিয়ান ফোরামে কেন রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের কথা এড়িয়ে যাবে, সেই প্রশ্নেরও জবাব প্রয়োজন। আমাদের দ্বিপক্ষীয় কূটনীতিই কি তাদের নিরুৎসাহিত করল?
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ওই অঞ্চলে ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিপদের কথা আলোচনা করেছেন এবং তা মোকাবিলায় সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন। মিয়ানমার তার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে তাদের বিতাড়নের ক্ষেত্রে আপাতদৃশ্যে দুটি বিষয়কে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে মনে হয়। প্রথমত, ওই জনগোষ্ঠীকে ইসলামি জঙ্গিবাদের ধারক-বাহক হিসেবে চিত্রিত করা এবং দ্বিতীয়ত, তাদের বাঙালি হিসেবে তুলে ধরে অর্থনৈতিক অভিবাসী হিসেবে তুলে ধরা। ইসলামি জঙ্গিবাদের বর্তমান বৈশ্বিক প্রবণতায় সব রাষ্ট্রই কোনো না কোনো মাত্রায় উদ্বিগ্ন এবং সে কারণে মিয়ানমারের পক্ষে ওই যুক্তিকে কাজে লাগানো সহজ। এমনকি যে রোহিঙ্গা শরণার্থীপ্রবাহের প্রথম ধাক্কা আমাদের ঘাড়ে এসে পড়েছে, সেই আমরাও নব-আবির্ভূত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কথিত হুমকি মোকাবিলায় মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছি। ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী মোরো ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট, তা থেকে বেরিয়ে গিয়ে সৃষ্ট আবু সায়াফের গোষ্ঠী, যারা পরে আইএসের আনুগত্য স্বীকার করে, এসব গোষ্ঠীর সন্ত্রাসের শিকার আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি ফিলিপাইন যে সহজেই মিয়ানমারের যুক্তি গ্রহণ করবে, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তা ছাড়া ফিলিপাইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের নিজের মানবাধিকার-বিষয়ক রেকর্ড এতটাই বিতর্কিত যে মানবাধিকার-বিষয়ক যেকোনো বিষয় আলোচ্যসূচি থেকে তিনি দূরে রাখবেন, সেটাই স্বাভাবিক। আমাদের বিস্মিত হওয়ার যেটুকু আছে, তা হলো সেই প্রশ্ন যে আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর জন্য আমাদের কি কোনো কৌশল ছিল? যদি কোনো কৌশল আমরা অনুসরণ করে থাকি, তাহলে তা ব্যর্থ হলো কেন?
মিয়ানমারের দ্বিতীয় কৌশলটিও আমাদের একেবারে অজানা নয়। রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে চিত্রিত করার মিয়ানমারি কৌশলের উদ্দেশ্য হচ্ছে, পাশ্চাত্যসহ অন্য দেশগুলোকে এ কথা বোঝানো যে বাঙালিরা সবাই অর্থনৈতিক অভিবাসী। এরা সারা বিশ্বেই অবৈধভাবে অভিবাসনে এগিয়ে আছে এবং মিয়ানমারও তার ভুক্তভোগী। বছর কয়েক আগে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর মিছিলের কথা আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। মানব পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যের কারণে সৃষ্ট বঙ্গোপসাগরের সেই অভিবাসন স্রোত বন্ধে আসিয়ান দেশগুলো সেখানে নৌবাহিনীর সমন্বিত টহলের ব্যবস্থা করেছিল। পাশ্চাত্যেও এমন দেশ খুব কমই আছে, যেখান থেকে আমরা বাংলাদেশিদের অবৈধ অভিবাসনের কথা শুনি না। সুতরাং, মিয়ানমার মনে করে, অর্থনৈতিক অভিবাসনের যুক্তিটিতে অনেক দেশকেই প্রভাবিত করা সম্ভব। রোহিঙ্গাদের জাতিগত স্বীকৃতির সংকটের সঙ্গে বাংলাদেশিদের অভিবাসন-ধারার যোগসূত্রকে নাকচ করার কোনো পাল্টা কৌশল আমরা নিয়েছি কি?
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে অবহেলিত জাতিগোষ্ঠীগুলোর একটি।নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা লিখেছে, রোহিঙ্গারা দরিদ্র এবং বলা চলে তাদের কোনো ক্ষমতাই নেই। বিশ্বের ক্ষমতাকেন্দ্রগুলো বা বড় বড় রাজধানীতে আমলা কিংবা রাজনীতিকদের মধ্যে তাদের পক্ষে ওকালতি করার কেউ নেই, যেমনটি আছে কুর্দিদের। তাদের পক্ষে বিভিন্ন দেশে জনমত গঠনের জন্য রাস্তায় নামার মতো রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত ছাত্রছাত্রীও খুব বেশি একটা নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাদের উপস্থিতি দৃশ্যমান নয়। ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টারের একজন পণ্ডিত আইডান হেহির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি ওয়েবসাইট ডাক অব মিনার্ভায় লিখেছেন, পাশ্চাত্যের সরকারগুলো জানে যে তাদের ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে, এমন কোনো অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন তাদের নেই।
নিউইয়র্ক টাইমস আরও লিখেছে, নেতারা এবং প্রতিষ্ঠানগুলো স্বদেশের অভ্যন্তরীণ চাপকেই শেষ পর্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আর মিয়ানমারেও দেশটির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতার বলয়ে রোহিঙ্গা দমনের বিষয়ে একধরনের মতৈক্য আছে। গণহত্যা বা গণনৃশংসতার বিষয়ে হার্ভার্ডের একজন বিশেষজ্ঞ কেট ক্রোনিন ফারম্যান পত্রিকাটিকে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলো নৃশংসতা করে তখনই, যখন তার জন্য সে বিশেষ প্রণোদনা পায়। স্পষ্টতই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং দেশটির নির্বাচিত জননেত্রী অং সান সু চি উভয়ের কাছে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের বিষয়টিই প্রধান প্রণোদনা।
রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকটে তাদের পাশে এখনো পর্যন্ত জোরালোভাবে আছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দীর্ঘদিন শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করেছেন। বাস্তুভিটা ছেড়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সমস্যা তিনি ভালোই বোঝেন। সে কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যতটা শক্ত কথা শোনা যাচ্ছে, তা তাঁর অথবা তাঁর সহকর্মীদের মুখ থেকেই শোনা যাচ্ছে। আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনেও তিনি আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে রোহিঙ্গাদের কথা বলেছেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এটি ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার একটি সম্ভাব্য উৎসে পরিণত হতে পারে। তিনি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে রাখাইনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণকর্মীদের অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়া এবং শরণার্থীদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন। তিনি রাখাইন পরামর্শক কমিশনের (কফি আনান কমিশন) সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের ওপরও জোর দিয়েছেন।
কিন্তু জাতিসংঘের মহাসচিবের আহ্বানে মিয়ানমারের অবস্থান নমনীয় হবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। অতীতের অভিজ্ঞতা অন্তত তা-ই বলে। শরণার্থীদের মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের ত্রাণকর্মীদের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে। সবাই সেটাকে কাজে লাগাতে চায়। সুতরাং, ত্রাণ কার্যক্রম এবং শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন-প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে কিছুটা দায়িত্ব দেওয়া ও সম্পৃক্ত করার বিষয়ে হয়তো জোরালো সমর্থন মিলবে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি এবং মিয়ানমারে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এর প্রভাব কতটা পড়বে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ। শরণার্থী ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় দর-কষাকষি মিয়ানমারের খুব পছন্দের একটি কৌশল। মিয়ানমার ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক প্রচারণায় সফল হয়েছে যে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনীতিতে নিয়োজিত আছে। এই কৌশল অনুসরণ করে ১৯৯২ সাল থেকেই তারা সুবিধা পেয়ে আসছে।
দ্বিপক্ষীয় কূটনীতিতে কোনো সমাধান নেই, সেটা মেনে নিয়েই রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিকীকরণে নতুন করে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। আগামী সপ্তাহে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্ধারিত সফরে যেন আবারও কিছু প্রতীকী প্রত্যাবর্তনের সমঝোতা না হয়। স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসনের আওয়াজে মিয়ানমারের খুশি হওয়ারই কথা। কেননা, দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহসা বদলাবে এমন সম্ভাবনা কম। দেশটির সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন। সে রকম পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত বোঝাটি বাংলাদেশেরই ঘাড়ে চাপবে বলেই অনেকের আশঙ্কা। আমাদের বরং তাই উচিত হবে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তার ‘রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট’ বা আরটুপি নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। জাতিসংঘের গৃহীত আরটুপি নীতির আওতায় প্রতিটি দেশকেই স্বতন্ত্রভাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো ব্যবস্থা নিতে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। আশার কথা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার আবারও নৃশংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি তুলতে আমরা যতই দ্বিধান্বিত থাকব, মিয়ানমার ততই লাভবান হবে।
কামাল আহমেদ: সাংবাদিক।