বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা, জনসংহতি সমিতির ৪ নেতাকর্মী আটক, রোববার হরতাল

বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জনসংহতি সমিতির ৪ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাতে আটককৃতরা হলেন, জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে.এস. মং মারমা, জেএসএস এর বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ক্যবামং মারমা, দলের সদস্য দীপন তঞ্চঙ্গ্যা ও মিথোয়াইঅং মারমা।

বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এই ৪ জনকে থানায় আনা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।

এদিকে চথোয়াইমং মারমাকে হত্যার প্রতিবাদে রোববার বান্দরবান জেলাব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল ডেকেছে জেলা আওয়ামী লীগ। দলটির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর জানান, সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

গত ২২ মে বুধবার রাতে বান্দরবান সদর উপজেলার উজি হেডম্যান পাড়ার বাগানবাড়ি থেকে চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।

এর তিন দিন পর শনিবার দুপুরে একই এলাকায় অন্য একটি বাগানবাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে চথোয়াইমং মারমার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে তার লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্যে প্রেরণ করা হয়।

শেয়ার করুন