কক্সবাজারের টেকনাফে রবিবার মধ্যরাতে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা মাদককারবারী নিহত হয়েছে। নিহত দুজন উপজেলার কুতপালং ৫নং ক্যাম্পের ব্লক-জি-২/ই এর শেড নং-৪৫১২৮৪ এর বাসিন্দা মোঃ শফির ছেলে মোঃ আলম (২৬) এবং ২নং বালুখালী ১৮নং ক্যাম্পের ব্লক নং- কে/৩ এর বাসিন্দা মোঃ এরশাদ আলীর ছেলে মোঃ ইয়াছিন (২৪)। মাদকের চালান নিয়ে অনুপ্রবেশ করছিল তারা। ঘটনার সময় বিজিবির দুইজন সদস্য আহত হয়েছে।
সূত্র জানায়, টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের হ্নীলা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল হোয়াব্রাং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মাদকের চালান খালাসের সংবাদ পায়। তারপর রবিবার মধ্যরাতে অভিযানে যায়। কিছুক্ষণ পর ৩/৪ জন লোক বস্তা নিয়ে নাফনদী থেকে পাড়ে আসছে দেখে বিজিবি তাদের থামতে বলে। তারা না থেমে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে ল্যান্সনায়েক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এবং নায়েক শাকের উদ্দিন আহত হয়। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এতে মাদক কারবারীদের কয়েকজন গুলি চালাতে চালাতে কেওড়া বাগান হয়ে পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করিয়া ৫০হাজার ইয়াবা, চায়না পিস্তল ও তাজা ২ রাউন্ড কার্তুজসহ দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে বিজিবি। আহত বিজিবি এবং গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারার পৃথক আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) নিশ্চিত করেন।