প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে জনশুমারির উদ্বোধন

দেশের সব মানুষকে গণনার আওতায় আনা হবে আগামী ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর। এই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে জনশুমারির মূল শুমারি। তার আগে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে শুমারির উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

সোমবার জোনাল অপারেশন (প্রথম) প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান (বিবিএস) ভবনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। মহাপরিচালক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক কবীর উদ্দিন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “জনগণের টাকা খরচে সতর্ক হতে হবে। কোনোভাবেই অপচয় করা যাবে না। না খেয়ে টাকা বাঁচাতে বলবো না। খেতেও হবে, আবার হিসাবও করতে হবে। প্রতিটি টাকা খরচ করতে হবে হিসাব করেই। সরকার ব্যয়ের পক্ষে। কিন্তু যে ব্যয় আমাদের ফিরিয়ে দেবে সেই ব্যয় করতে হবে। কেননা যারা আমাদের টাকা দিচ্ছেন, তার গিয়ে দেখেন, আমাদের মতো সুন্দর বসার জায়গা পাচ্ছেন না। তারা হয়তো মাটিতে বসে কাজ করছেন। অথচ তারাই দেশের মালিক। স্টেশনারি কেনাকাটাসহ সব ধরনের কেনাকাটায় বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। সময়মতো ক্রয় কার্যক্রম করতে হবে।”

এমএ মান্নান আরও বলেন, “সঠিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। টিম ওয়ার্ক করতে হবে। প্রচার-প্রকাশনা ব্যাপকভাবে চালাতে হবে। আগে কোনো তথ্য নিয়ে কথা উঠলে মানুষ বলতো বিশ্বব্যাংক কী বলে। এখন মানুষ বলে বিবিএস কী বলে। এই আগ্রহটা তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে। পরিসংখ্যান আমাদের তিন-চারটি পালকের মধ্যে একটি। এই পালক কার্যক্রম জনগণের ব্যাপক কাজে লাগছে।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশের ১৪৪ জন জোনাল কর্মকর্তা এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। জোনাল অপারেশন প্রথমে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত হবে। 

মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, “চলতি মাসেই মূল শুমারির অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডিভাইস ব্যবহার করে ধর্যসহকারে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সঠিক পরিসংখ্যান ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটায়।” 

তিনি আরও বলেন, “জনশুমারি প্রকল্পে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করছি। কেননা কৃষি শুমারিতে কাগজ-কলম ব্যবহার করতে গিয়ে ১৩ কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হয়েছে। কেননা অনেক কাগজ নষ্ট হয়েছে। তথ্য ধরা যাচ্ছিল না। পরবর্তী অনেক দেনদরবার করে এই টাকা পাস করতে হয়েছিল। এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে আমরা সতর্ক রয়েছি।”

শেয়ার করুন