টেকনাফে মঙ্গলবার ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন সন্ত্রাসী এবং একজন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো, হ্নীলা মৌলভীবাজারের মৃত সোলতান আহমদ ওরফে চামড়া বাদশার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০) এবং হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত হাজী আলী আহমদের ছেলে আব্দুল জলিল ওরফে গুরা পুতুইক্কা (৩০)।
অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ৩জন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, ইয়াবা ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতের দিকে পুলিশের একটি দল উপজেলার হোয়াইক্যং স্থানে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ অস্ত্রধারী এবং মাদককারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশের এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাশ ও এমরান হোসেন আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে বেশ কিছুক্ষণ থেমে থেমে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। তাতে হামলাকারীরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
পরিস্থিতি শান্ত হলে উক্ত এলাকা তল্লাশী করে ইয়াবা, অস্ত্র ও কার্তুজসহ উপরোক্ত দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। নিহতরা একাধিক মাদক ও অবৈধ অস্ত্র মামলার আসামি ছিল।
আহত পুলিশ সদস্য এবং অস্ত্রধারী ও গুলিবিদ্ধ মাদককারবারীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার পর গুলিবিদ্ধ মাদককারবারীদের আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।