কিশোরগঞ্জ উপজেলার যমুনেশ্বরী ও চাঁড়ালকাঁটা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোফাখারুল ইসলাম জানান, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং নদী খননের জন্য পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের সাত থেকে আটটি গ্রামের প্রায় ৫শ টি পরিবার মাদ্রাসা এতিমখানা রাস্তাঘাট, ব্রীজ কালভার্ট এবং চাঁদখানা ইউনিয়নের সারোভাষা গ্রামের ঘাটের পাড়ে নির্মিত কোটি টাকার ব্রিজটি হুমকির মধ্যে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদসহ নদী ভাঙন এলাকাগুলি পরিদর্শন করে এসেছেন। খুব তাড়াতাড়ি ভাঙন কবলিত এলাকাগুলি ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমানের নির্দেশে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তেলিপাড়া, যুগিপাড়া, রুপালি কেশবা, ময়দানপাড়া, এবং চাঁদখানা ইউনিয়নের সারোভাষা এলাকায় নদী ভাঙন পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। সেইসঙ্গে নদী ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।’