শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এক নারীকে দ্রুত শিমুলীয়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফেরি থেকে স্পীডবোটে তুলে পদ্মার চরে নিয়ে যায় তিন ধর্ষক। সেখানে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে তারা। এ ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে স্পিডবোট চালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও ঘটনার শিকার নারী জানায়, যশোর জেলার বাসিন্দা ওই মেয়ের সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে চাঁদপুরের এক ছেলের বিয়ে হয়। মেয়েটির স্বামী ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় পদ্মা সেতুর প্রজেক্টে কর্মরত। তিন দিন আগে মেয়েটি তার আত্মীয় বাড়ি জেলার শিবচরের কাঠালবাড়ি এলাকায় বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে মেয়েটি তার স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য কাঠালবাড়ি ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অপরদিকে মেয়েটিকে এগিয়ে নিতে তার স্বামীও প্রজেক্টের কাজ শেষ করে শিমুলীয়া ঘাটে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
মেয়েটি কাঁঠালবাড়ি ঘাটে একটি ফেরিতে ওঠে এরপর একটি স্পীডবোট নিয়ে চালকসহ চার যুবক মেয়েটিকে দ্রুত শিমুলিয়া পৌছে দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে স্পিডবোটে তোলে। স্পিডবোটটি কিছু সময় যাওয়ার পর কাঠালবাড়ির বুড়ার খেয়া ঘাটে পৌঁছে থেমে যায়। চালক তেল আনার কথা বলে চলে যায়। এ সময় তিন যুবক মাসুদ মোল্লা, মাহবুব মৃর্ধা, নুর মোহাম্মদ হাওলাদার মেয়েটিকে চরে নামিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্পিডবোট চালক তেল নিয়ে এলে ওই ৩ যুবক পালিয়ে যায়। মেয়েটি ঘটনার বিস্তারিত জানালে চালক তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। গভীর রাতে মেয়েটির স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে শিমুলিয়া থেকে পার হয়ে কাঠালবাড়ি আসেন।
বুধবার বিকেল পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার মেয়েটির আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী কাঠালবাড়ি এলাকায় আপোস রফার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। দুপুরে খবর পেয়ে শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক বিষ্ণপদ হীরা সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ আটক চালক ফারুক মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ধর্ষণকারী তিন যুবক মাসুদ মোল্লা (২৫) মাহবুল মৃর্ধা (৩০) নুর মোহাম্মদ হাওলাদারকে (২৪) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাসুদ কাঠালবাড়ী এলাকার ফকির কান্দি গ্রামের তনু মোল্লার ছেলে। মাহাবুল মৃধা একই এলাকার রশিদ মৃধার ছেলে এবং আটক নুর মোহাম্মদ হাওলাদার একই এলাকার সামাদ হাওলাদারের ছেলে।
শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটি আসামিদের শনাক্ত করেছে। আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা স্বীকার করেছে। এই ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি মামলা হয়েছে।