ডেস্ক রিপোর্ট: ঈদের পরদিনও গ্রামের উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার ও ট্যাক্সিক্যাবের জটলা বাঁধছে টার্মিনাল এলাকাগুলোতে।
সকাল থেকে রাজধানী থেকে বের হবার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রাইভেট যানবাহনের ভিড় দেখা গেছে।
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। দুপুর পর্যন্ত পারাপারের অপেক্ষায় ছিলো কয়েকশ’ যানবাহন।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বেড়েছে মাওয়া এবং দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটেও। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিতেই যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে বেশি।
গাবতলী টার্মিনালে পরিবহণ মালিক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভোর থেকেই প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি চাপ থাকায় বাড়তি ভাড়াও হাঁকছেন চালকরা।
শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক মোঃ জামিল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে আজও হাজার হাজার মানুষ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুট হয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এছাড়া ঈদের পরে অফিস-আদালত চালু হলে সেসবে যোগদান করতেও আগেভাগে ঢাকায় ফিরতে চাইছেন অনেকে। যে কারণে ফেরির উভয় পাড়ে জনসমাগম বেড়েছে সকাল থেকে।
যে কারণে বাড়তি যাত্রীর চাপ সামলাতে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৪টিই চালু রাখা হয়েছে।
ফেরিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউবা ছোট ছোট যানবাহনে দ্বিগুণ ত্রিগুণ ভাড়ায় নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। যাদের অনেকের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে কোনো সতর্কতা দেখা যায়নি।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানীর সাথে যাতায়াতের জন্যে দমাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুট ব্যবহার করেন।