তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদি রাজতন্ত্রবিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগির বড় ছেলে সালাহ বিন জামাল খাশোগি দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তিনি দেশ ত্যাগ করতে সক্ষম হন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।
এর আগে তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে বাবা জামাল খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন সালাহ।
বৃহস্পতিবার সৌদি-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক সালাহ ওয়াশিংটনে পৌঁছান বলে তার পরিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তার মা ও তিন ভাইবোন আগেই এখানে অবস্থান করছিলেন।
খাশুগজির ছেলের যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো জানান, সালাহর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পম্পেও রিয়াদকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার সাংবাদিক জামাল খাশোগির পরিবার ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। রিয়াদের একটি প্রাসাদে তারা মিলিত হন। এসময় খাশোগির দুই ছেলে সালাহ ও সাহেলকে সান্ত্বনা দেন বাদশাহ ও যুবরাজ।
যদিও সোমবার (২২ অক্টোবর) সালাহকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন যুবরাজ সালমান।
২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে গেলে নিখোঁজ হয়ে যান সাংবাদিক খাশোগি। এ ঘটনার পর থেকে তুরস্ক দাবি করে আসছিল- সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরেই জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রথম দিকে অস্বীকার করে নানা রকম কথা বললেও ঘটনার ১৭ দিন পর কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে খাশোগি নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি।