অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আজ সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে জাতীয় শিশু সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে তিনি শিশু যৌন নির্যাতনের ভুক্তভোগীদের কাছে এই ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। শিশু যৌন নির্যাতনের ভুক্তভোগীরা এ সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিল। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করতে আজ পার্লামেন্টের সব অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা এ সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিল। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করতে পার্লামেন্টের সব অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ২০১২ সালে এই ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি রয়েল কমিশনের মাধ্যমে অনুমোদন করেন। তিনিও দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন আজ।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের শুরুতেই মরিসন বলেন, ‘আজ আমরা মুখোমুখি হব নীরব কণ্ঠস্বরের, অন্ধকারের চাপা কান্নার। অস্বীকৃত অশ্রুর। অদৃশ্য দুঃখের অত্যাচারের।’
ভাষণের একপর্যায়ে মরিসন লজ্জায় মাথা নত করে বলেন, ‘যে শিশুদের আমরা নিরাপদে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি, আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। যে বাবা-মায়ের বিশ্বাস আমরা ভেঙে দিয়েছি, যাঁরা সেই টুকরা টুকরা বিশ্বাসগুলো একসঙ্গে করতে সংগ্রাম করছেন, তাঁদের কাছে আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’ শিশু যৌন নির্যাতনে বেঁচে যাওয়াদের উদ্দেশে মরিসন বলেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্বাস করি, ভালোবাসি, এই দেশ তোমাদের বিশ্বাস করে, ভালোবাসে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান নেতা বিল শর্টেনও ক্ষমা চাইলেন শিশু নির্যাতনের শিকার সবার কাছে। বললেন, ‘আমরা ক্ষমা চাইছি প্রতিটি নষ্ট হয়ে যাওয়া শৈশবের জন্য, আমরা ক্ষমা চাইছি প্রতিটি হারিয়ে যাওয়া জীবনের জন্য, আমরা ক্ষমা চাইছি প্রতিটি বিশ্বাসঘাতকতার জন্য, প্রতিটি ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য।’
প্রধানমন্ত্রী মরিসন শিশু যৌন নির্যাতন অপরাধের শাস্তির ব্যবস্থা আরও দ্রুত কার্যকর করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া ক্ষমা চাওয়া একটা সাদা কাগজের মতোই। আজ আমরা শিশুদের বিশ্বাস করা ও তাদের কথা শোনার মতো একটি দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা করছি।’