টানা বৃষ্টির প্রভাবে বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দুয়ারায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো আজও সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বান্দরবান। মঙ্গলবার থেকে কোন যানবাহন চলাচল করেনি এই রুটে। ফলে দূর গন্তব্যের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এদিকে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টি ও উজানের পানিতে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর উচ্চতা বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি শহরে ঢুকে কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। নদী পাড়ের মানুষ গতকাল থেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। আশ্রয় নেয়া পরিরবারের সংখ্যা অন্তত একশ’।
নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রুমা ও থানচিতে নৌ ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন। পাহাড় ধসের আশংকায় পাহাড়ের পাদদেশের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাবার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বান্দরবান সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর জানান, ‘জেলা সদরের ৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে শ’খানেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকি এড়াতে আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা সবাই নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ।’
বুধবার বান্দরবান সেনা রিজিয়নের পক্ষ থেকে এসব মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মোহাম্মদ শাহিদুল ইমরান।
জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম জানান, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে আসতে সারাদিন মাইকিং করা হচ্ছে।’