নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা মানেই দাঁতের যত্ন নয়। দাঁতের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে সুষম খাদ্যের একটা নিবিড় যোগাযোগ আছে। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি ও বি১, আয়োডিন, ফ্লোরিন ইত্যাদি দাঁতের জন্য অপরিহার্য খনিজ ও ভিটামিন। খাবারের মাধ্যমেই তা পূরণ করতে হয়। ছোটবেলা থেকেই খাবারে এসব খনিজ ও ভিটামিন পর্যাপ্ত না থাকলে দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ও গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে।
ক্যালসিয়াম দাঁত ও মাড়ি মজবুত করে, এটা সবাই জানি। দুধ, দই, পনির, সয়াবিন, শিমের বিচি, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, বিভিন্ন শাকে ক্যালসিয়াম আছে। ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য চাই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন পাওয়া যায় সূর্যের আলোতে। এ ছাড়া দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল ও ডিমেও আছে কিছু।
ভিটামিন সি-এর অভাবে মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে। আমলকী, পেয়ারা, লেবুজাতীয় ফল, মালটা, টমেটো, কাঁচা মরিচে আছে প্রচুর ভিটামিন সি।
ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন দাঁতের ব্যথা কমায়। ভুসিযুক্ত আটা, লাল চাল, সয়াবিন, ডিমের কুসুম, মাছ, ওটমিল, চিনাবাদামে এটি পাওয়া যায়। দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হলো আয়োডিন। এটি পাওয়া যাবে স্পিরিলুনা, সামুদ্রিক মাছ, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও আয়োডিনযুক্ত লবণে। ফ্লোরিনও দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দন্তক্ষয় রোধ করে ফ্লোরিন। লবণ, জলপাই, চা ও বিশুদ্ধ পানিতে ফ্লোরিন থাকে।
যেকোনো কোমল পানীয় বা সোডাযুক্ত পানীয় দাঁতের এনামেল নষ্ট করে। এগুলো পান করার পর দাঁত ভালো করে ব্রাশ করতে হবে। এ ছাড়া আঠালো শর্করাও (যেমন চকলেট) দাঁতের জন্য খারাপ।
আখতারুন নাহার, পুষ্টিবিদ