সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের আহ্বান মির্জা ফখরুলের

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ২০টি আসনও পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ (শুক্রবার) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে এ সমাবেশের আয়োজন করে দলটি।

বিকাল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসেন। ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি পেলেও সময় স্বল্পতার কারণে মঞ্চ তৈরির সুযোগ পায়নি বিএনপি। ফলে খোলা ট্রাকের মঞ্চ থেকে সমাবেশে নেতৃত্ব দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা ও সব রাজবন্দির মুক্তির দাবি জানানো হয়। বর্তমানে দেশের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে, এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণ পর্যন্ত লুট করা হয়েছে।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলে জনগণের দাবি আদায় করতে হবে। অপশাসনকে পরাজিত করে জাতিকে মুক্তি দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাম মোর্চাকে ধন্যবাদ জানাই। তারা একটি ঐক্য গড়ে তুলেছে। তাদের সবাইকে আহ্বান জানাবো গণতন্ত্রকামী সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হোন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। দেশকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করুন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে  বলেন, যে মানুষটি দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে আজ অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে  বলেন, খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ যে তার আত্মীয়রা দেখা করতে গেলে তিনি নিচে আসতে পারেন না। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, আমরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছি। রাজনীতি তো করছেন আপনারা। কারণ খালেদা জিয়াকে আপনারা ভয় পান, সেজন্য একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে আটকে রেখেছেন। যে মামলায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই সে মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছেন। কারণ একটাই, রাজনীতি।

কোটা প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, যখন আন্দোলন তুঙ্গে তখন প্রধানমন্ত্রী রেগে সংসদে বললেন, কোনো কোটা থাকবে না। আর এখন কি করছেন, যারা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তাদের গুম-রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। ছাত্রলীগের ভূমিকা পাকিস্তান আমলের ইয়াহিয়া খানের ছাত্র সংগঠনের মতো। আজ দেশে কেউ নিরাপদ নয়। কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগে বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম করা হতো। এখন নতুন নাটক শুরু হয়েছে, মাদকের নামে নিরপরাধ মানুষকে বিনা বিচারে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। সরকার আজ দেশে একটা ভয়াবহ ত্রাসের রাজত্ব শুরু করেছে। এ দেশে আজ প্রতিটি মানুষ অনিরাপদ। তাদের কখন কোথায় মৃত্যু হবে তা কেউ জানে না।#

সৌজন্যে ঃ রেডিও তেহরান অনলাইন

শেয়ার করুন