মৃত্যুর গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে প্রায় ২০ দিন পর প্রকাশ্যে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং-উন।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ একটি কারখানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কিম যোগ দিয়েছেন বলে খবর প্রচার করেছে। কেসিএনএ’র বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছাকাছি সাঞ্চিয়ন নামক স্থানে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করেছেন কিম। এ সময় তার সঙ্গে বোন কিম ইয়ো-জং ও রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ছিলেন। ফিতা কেটে কারখানাটি উদ্বোধন করেন কিম। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও অতিথিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
গত ১২ এপ্রিলের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না উত্তর কোরিয়ার এই একনায়ক শাসককে। গুজব উঠেছিলো কিম মারা গেছেন। গত ১৫ এপ্রিল পিতামহ এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিন অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন কিম। বিষয়টি গুজবের আগুনে ঘি ঢালে।
এরপর গত সপ্তাহে কোরিয়ান পিপলস রেভুল্যুশনারি আর্মির ৮৮তম বার্ষিকীর মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি কিমকে। এসব বিষয়কে নজরে এনে কিম মারা গেছেন আশঙ্কার খবর প্রকাশ করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে।
এরইমধ্যে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম কোরিয়া জংআং ডেইলি জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কিমের এক নিরাপত্তারক্ষী। আর এ কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে আইসোলেশনে রয়েছেন কিম।
এছাড়া নিউইয়র্ক পোস্টসহ কিছু সংবাদ মাধ্যম জানায়, গত বছরের আগস্ট থেকে হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন কিম। এপ্রিলের শুরুতে পায়েকতু নামের এক পাহাড়ি এলাকা থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই তার সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়। সেজন্য করোনাকালে সতর্কতাস্বরূপ আড়ালে গিয়ে থাকছেন কিম। তবে কিমের মৃত্যু বা অসুস্থতার খবর সব সময়ই উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় কিমের ব্যাপারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, কিম কেমন আছেন আমি জানি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনই আমি কিছু বলব না। আমি আশা করি, তিনি ভালো আছেন। খুব দ্রুতই আপনারাও তার ব্যাপারে জানতে পারবেন। আমি কেবল তার শুভ কামনা করছি।’’
শুক্রবার প্রকাশ্যে এসে মৃত্যুর গুঞ্জনকে মিথ্যা প্রমাণিত করলেও এই ২০ দিন কেন বিশ্ববাসীর আড়ালে ছিলেন কিম তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।