শরীরের বিশুদ্ধতায় খাদ্যতালিকায় গুরুত্বপূর্ণ যে খাবারগুলো

পেঁয়াজ ও রসুন

রান্নার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দুটি উপকরণ পেঁয়াজ ও রসুন। দুটোতেই রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিনা যকৃৎকে উদ্দীপ্ত করে পরিষ্কারক এনজাইম তৈরির জন্য। তাছাড়া এ দুই উপাদানেই রয়েছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক বৈশিষ্ট্য। শরীর থেকে টক্সিক উপাদান দূর করতে রান্না বা সালাদে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া কাঁচা রসুন খেলেও উপকার পাওয়া যায়। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তারা অল্প পরিমাণে রসুন খাবেন।

লেবুজল

লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম জলের সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি কর্মব্যস্ত দিনে শক্তি জোগাবে, পেট পরিষ্কার রাখবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে পাশাপাশি ত্বকও থাকবে সুন্দর।

 শাকসবজি

সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ক্লোরোফিল, যা শরীর ডিটক্স করে ও শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। মৌসুমি শাকসবজিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ফাইবার, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্লোরোফিল, ফসফরাস, ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’ ও ‘কে’। পালংশাক, ব্রোকলি ও উচ্ছের মতো শাকসবজি নিয়মিত রাখুন খাদ্যতালিকায়।

 বিটরুট ও গাজর

এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন, ক্যালসিয়াম ও বিটাইন নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের গঠন উন্নত ও ক্ষতিপূরণ করে এবং যকৃতের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করে। বিটরুট খেলে শরীর থেকে বিষাক্ত সব পদার্থ বেরিয়ে যায়। বিটরুট রান্না করে, সালাদ হিসেবে বা জুস করে খাওয়া যায়। অন্যদিকে গাজর শক্তিশালী পরিষ্কারক হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন ‘এ’। গাজর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অনেকেই গাজর খেতে পারেন না। তারা গাজর জুস করে খেতে পারেন। এতে করে শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যাবে।

সবুজ চা

সবুজ চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দেয়। তাই স্বাস্থ্যকর ক্যাফেইনের উৎস হিসেবে বেছে নিতে পারেন সবুজ চা।

 বাদাম ও বীজ

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এ দুটি উপাদান রাখলে উপকৃত হবেন আপনিই। বিশেষত সকাল ও দুপুরের মাঝখানে এবং বিকালের স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজ খেতে পারেন। কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তা, চীনা ও কাঠবাদাম, তিসি ইত্যাদি একটি বয়ামে ভরে রেখে দিন। স্ন্যাকস টাইমে খেয়ে নিন। এগুলো ডিটক্স ফুড হিসেবে বহুল পরিচিত।

 পেট পরিষ্কার করতে খালি পেটে খান

কিছু খাবার রয়েছে, যা পেট পরিষ্কার রাখে। কিন্তু এসব খাবার ভরা পেটের তুলনায় খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। সেগুলো হচ্ছে—

মধু পেট ভালো রাখে। সকালে হালকা গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। মধু শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। সর্বোপরি তা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

খালি পেটে আমলকীর রস খেলে ত্বক পরিষ্কার থাকে ও চুল ভালো থাকে। এর মধ্যকার ভিটামিন ‘সি’ দূষিত পদার্থের সঙ্গে লড়াই করে ত্বকে পরিচ্ছন্নভাব এনে দেয় ও শরীরে রোগ জীবাণুর আক্রমণ ঠেকায়।

খালি পেটে খেজুর খেলে পেটের কোনো সমস্যা হবে না। খেজুর হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

শেয়ার করুন